CNI-র আর্থিক দুর্নীতি ঢাকতেই নাড্ডার দ্বারস্থ কলকাতার বিশপ ক্যানিং?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সীমাহীন লোভই কি আর্থিক দুর্নীতির কারণ? চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়া (সিএনআই) কলকাতার বিশপ পরিতোষ ক্যানিংয়ের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন সিএনআইয়ের কলকাতা ও ব্যারাকপুর শাখার সদস্যরা। অল বেঙ্গল ক্রিশ্চান পিপলস ফোরাম নামে একটি সংগঠন কিছুদিন আগে এই অর্থে একটি সাংবাদিক বৈঠকও করে।
বিশপ পরিতোষ ক্যানিং রেভারেন্ড পিসি সিংয়ের ঘনিষ্ঠ তথা আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। এই পিসি সিংয়েরও হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ মিলেছে আগেই, অর্থনৈতিক প্রতারণা ও কেলেঙ্কারির কারণে মধ্যপ্রদেশে পিসি সিংয়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে বলেও জানা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, পিসি সিং ঘনিষ্ঠ বিশপ পরিতোষ এবং তার লোকজন বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখছে, যাতে আর্থিক কেলেঙ্কারিজনিত তদন্ত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। চলতি এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে দেখা করেছিলেন বিশপ পরিতোষ। সেই ছবিও সমাজ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সিএনআইয়ের কলকাতা ও ব্যারাকপুর শাখার সদস্যরা সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করছেন, বিশপের পদে থেকে সেই পদের অপব্যবহার করে ফায়দা তুলছেন বিশপ পরিতোষ। বেনজিরভাবে, চার্চ ও বিশপ পদের মর্যাদা হানি ঘটাচ্ছেন তিনি। অধ্যাপক দীপক নাথের অভিযোগ, পরিতোষ ক্যানিং দীর্ঘদিন ধরে পিসি সিংয়ের খুব কাছের লোক, তিনিও টাকা তুলেছেন নানাভাবে। অধ্যাপক দীপক নাথের দাবি, পরিতোষ ক্যানিংয়ের ক্লাস টুয়েলভ ও স্নাতকের ডিগ্রি ভুয়ো। পিসি সিংকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে পরিতোষ বিশপ হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠছে। দাবি করা হচ্ছে, কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে পরিতোষের। দুবাই ও লন্ডনে বাংলো, কলকাতায় ছটি ফ্ল্যাট, জমিসহ নামি বেনামি সম্পত্তি আছে তার। আরও গুরুতর অভিযোগ উঠছে পড়ুয়াদের থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে। সিএনআই লা মার্টিনিয়ার, সেন্ট জেমস, সেন্ট টমাস খিদিরপুর, স্কটিশ চার্চ কলেজসহ বহু বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। সিএনআই পরিচালিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন বিশপ পরিতোষ, এমনই অভিযোগ। পড়ুয়া পিছু দশ লক্ষ টাকা করে নেন তিনি, এমনই গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে অল বেঙ্গল ক্রিশ্চান পিপলস ফোরাম নামে একটি সংগঠনের সাংবাদিক বৈঠকে।