বিলকিস বানো ইস্যুতে গুজরাত এবং মোদী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গত ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন গুজরাতে মুক্তি পায় বিলকিস বানোর ধর্ষকরা। এই নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও গুজরাত সরকার। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, কোন আইন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে, সেটা আরও ভাল করে বিবেচনা করা উচিত। আইন আছে বলেই ধর্ষকদের ছেড়ে দেওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উচিত ছিল নিজেদের বুদ্ধি খাটানো।
মঙ্গলবার বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিচারপতি বিভি নাগারত্নার ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘একজন অন্তঃসত্ত্বাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে, সেই সঙ্গে খুন করা হয়েছে একাধিক লোককে। এই জঘন্য অপরাধকে আর পাঁচটা সাধারণ ৩০২ ধারার (খুনের ধারা) সঙ্গে তুলনা করা যায় না!’ আগামী ২ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিনই মামলার রায় ঘোষিত হতে পারে।
শীর্ষ আদালত সাফ বলছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্য সরকার নিজেদের বিবেচনাশক্তি আদৌ কাজে লাগিয়েছিল কিনা সেটাই প্রশ্ন। আর কীসের ভিত্তিতেই বা রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল? সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য,”আজ এটা বিলকিস বানোর সঙ্গে হয়েছে। কাল আমার বা আপনার সঙ্গে হতে পারে। আপনারা যদি ঠিকঠাক কারণ না জানান, তাহলে আমাদের নিজেদের মতো করে ভেবে নিতে হবে।”
উল্লখ্য, গত ১৫ অগস্ট স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বহুল চর্চিত বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ ধর্ষককে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাতের বিজেপি সরকার। অভিযোগ ওঠে, গুজরাত বিধানসভা ভোটের আগে হিন্দুত্ব ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি সরকার। যা নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।