অক্ষয় তৃতীয়ায় হল চন্দনযাত্রা, গতকাল থেকে সূচনা হয়ে গেল মাহেশের রথযাত্রার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গতকাল ছিল অক্ষয় তৃতীয়া, এই পবিত্র তিথিতেই পুরীর নীলাচলে জগন্নাথদেবের রথ নির্মাণের কাজ আরম্ভ হয়। আরেক প্রাচীন রথযাত্রা শ্রীরামপুরের মাহেশে শুরু হয় চন্দনযাত্রা উৎসব। আগামী ৪২ দিন ধরে হুগলির মাহেশে চলে জগন্নাথদেবের মাথায় চন্দন লেপন। তারপর হয় স্নানযাত্রা উৎসব। বলাবাহুল্য, কার্যত শুরু হয়ে গেল মাহেশের রথযাত্রার উৎসব।
চন্দনযাত্রায় মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে উপচে পড়েছিল ভক্তদের ভিড়। প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়াতে জগন্নাথের চন্দনযাত্রা উৎসব হয়। ৬২৭ বছর ধরে দারু নির্মিত জগন্নাথ মূর্তি একই রকম রয়েছে। কোনও ক্ষয় নেই। ভক্তরা বলে এটিই মাহেশের জগন্নাথদেবের মাহাত্ম্য।
বিয়াল্লিশ দিনের মাথায় মাহেশ স্নানপিঁড়ির মাঠে স্নানযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত। কলসি কলসি গঙ্গাজল আর দুধ দিয়ে জগন্নাথদেবের দারু বিগ্রহকে স্নান করানো হবে। বলা হয়, এই স্নানের পরই জগন্নাথদেবের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। তখন নাকি কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগন্নাথদেব। দুসপ্তাহ মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। এ সময়ে তিনি ভক্তদের দেখা দেন না। কবিরাজের পাচন খেয়ে জ্বর সারলে মন্দিরের দরজা খোলা হয়। তখন সুস্থ হওয়ার পর মাসির বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন জগন্নাথদেব। বলরাম ও শুভদ্রাকে নিয়ে রথে চড়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন জগন্নাথ। কয়েক শতাব্দী ধরে, এভাবেই মাহেশের রথযাত্রা হয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই চলতি বছরের রথযাত্রার ঢাকে কাঠি পড়ে গেল।