পুরনো গাড়ি কেনাবেচায় নিয়ন্ত্রণ, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুরাহায় উদ্যোগী রাজ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গাড়ি বিক্রি করেও রেহাই পান না বিক্রেতারা, পুরনো গাড়ি বেচার পরেও নানা রকমের হয়রানি হেনস্থার শিকার হতে হয় তাদের। হঠাৎ হঠাৎ ফোনে ট্রাফিক পুলিশের জরিমানার মেসেজ এসে পড়ে। কখনও কখনও পুলিশি জেরার মুখেও পড়তে হয়। কোনও কিছুর মধ্যে না থাকা, ওই ব্যক্তি হঠাৎ করেই জানতে পারেন, তাঁর নামে নথিভুক্ত কোনও গাড়ি খুন বা ধর্ষণের ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তারপর শুরু হয় জেরবার হওয়ার পালা। রাজ্য সরকারের নতুন নীতির কারণে, মিটছে চলেছে এই জাতীয় দুর্ভোগ।
নয়া নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সংস্থাকে পুরনো গাড়ি বা বাইক বিক্রি করে দেওয়ার পর বিক্রেতা পুরোপুরি দায়মুক্ত হবেন। কিন্তু ওই সংস্থাকে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে তবেই ব্যবসা করার লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থাকে গাড়ি বিক্রির পর, যতক্ষণ না পর্যন্ত অন্য কাউকে তা বিক্রি করা হচ্ছে, ততক্ষণ সেটির নথিপত্র আপডেটসহ যাবতীয় দায়িত্ব বর্তাবে ওই সংস্থার উপর। রাজ্য পরিবহণ দপ্তর তরফে এমনটাই জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, কোনও ব্যক্তি লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থার কাছে গাড়ি বিক্রি করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে লিখিত চুক্তি হবে। তারপর থেকে গাড়ির মালিক হিসেবে ওই সংস্থাই বিবেচিত হবে। বিক্রেতা সম্পূর্ণ দায়মুক্ত।
এতদিন পুরনো গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসায় সরকার কোন ধরণের নজরদারি চালাত না। সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনে হাজার হাজার প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ সামনে আসত। গাড়ি কেনার পরেই, অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতারা দেখেন বিমা, রোড ট্যাক্স বা সিএফ করা নেই; এমনই অভিযোগ। তখন ফের বাড়তি কয়েক হাজার টাকা খরচ করা, ক্রেতাকে যথার্থ নথিপত্র ঠিক করতে হয়। সেই কারণে, রাজ্য নয়া এই সুসংহত নীতি গ্রহণ করেছে।
সাফ বলা হয়েছে, পরিবহণ দপ্তরকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে লাইসেন্স নিয়ে, তবেই পুরনো গাড়ি বা বাইক কেনাবেচার ব্যবসা করা যাবে। রাজ্যের ৫৫ জন আরটিও বা এআরটিও গোটা ব্যবস্থাটি পরিচালনা করবেন। কারা এই ব্যবসা চালাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সরকারি লাইসেন্স সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হবে। প্রতি মাসে সংস্থাগুলিকে পুরনো গাড়ি কেনাবেচার যাবতীয় তথ্য লিখিতভাবে ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে জমা করতে হবে। এছাড়াও সাধারণ মানুষ যাতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থার মাধ্যমেই পুরনো গাড়ি কেনাবেচা করেন, তার জন্য সচেতনতামূলক প্রচারও চালাবে রাজ্য।