রাজ্যপাল আটকে রাখছে পাশ হওয়া বিল? এবার গুরুত্বপূর্ণ রায় শীর্ষ আদালতের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাম্প্রতিককালে অবিজেপি রাজ্যে একাধিকবার সরকার এবং রাজ্যপালের সংঘাত দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে একাধিক রাজ্যে বিস্তর হইচই হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়। এবার এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল দেশের সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে বিধানসভায় কোনও বিল পাশ হলে যত দ্রুত সম্ভব তা ছেড়ে দিতে হবে রাজ্যপালকে।
তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকার। তাদের অভিযোগ, বিধানসভায় অনুমোদিত অন্তত ১০টি বিল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল। সেই মামলার পর্যবেক্ষণে সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, বিধানসভায় অনুমোদিত কোনও বিল অনির্দিষ্টকাল আটকে রাখতে পারেন না রাজ্যপাল। হয় বিলে ছাড়পত্র দেবেন, নয় ফেরত পাঠাবেন রাজ্যপাল। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সংবিধানের ২০০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘যত দ্রুত সম্ভব’ শব্দটির মধ্যে সাংবিধানিক মর্মার্থ রয়েছে। সেকথা মাথায় রাখতে হবে রাজভবনকে।
প্রসঙ্গত বাংলায় বিধানসভায় পাশ হওয়া গণপিটুনি প্রতিরোধ এবং তফসিলি জাতি-উপজাতি কমিশন সহ একাধিক বিল আটকে রেখেছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এছাড়াও হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১ আটকে রেখেছিলেন তিনি। ফলে প্রায় আড়াই বছর ধরে পুর নিগমের ভোট করানো যায় নি।
সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যের বিধানসভায় কোনও বিল পাশ হওয়ার পর সেটি রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। এরপর রাজ্যপালকে হয় বিলে সম্মতি দিতে হবে, নাহলে ফেরত পাঠাতে হবে। বড়জোর, তিনি রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য বিলটি স্থগিত কিংবা তা সংশোধনের সুপারিশ করতে পারেন। কিন্তু তারপরও রাজ্য সরকার যদি বিলে কোনও পরিবর্তন না করে, তাহলে তা ছেড়ে দিতে হয় রাজ্যপালকে।