ধর্মঠাকুরের নাম থেকেই কি ধর্মতলা? বিতর্ক উস্কে দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: যে ধর্মতলা একসময় বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে পূর্ব এশিয়ার প্রাণকেন্দ্র ছিল, সেই ধর্মতলার নাম হয়েছিল নাকি ধর্মঠাকুরের নামে! এখানে ধর্মঠাকুরের পুজো হয়েছিল। আর কলকাতার সেই হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাইছে বঙ্গ কুম্ভ মেলা।
যে ধর্মতলা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সভা, মিছিল, বিক্ষোভ দেখতে অভ্যস্ত, সেখানে এবার সাধুসন্তদের সমাবেশ, মেলা, পূজাপাঠ, যাগযজ্ঞ হতে দেখা যাবে। ৫ থেকে ৯ মে, পাঁচদিন ব্যাপী এখানে ধর্মঠাকুর পুজো মহোৎসব হবে। সাধুসন্তের প্রবচন, সন্ধ্যা আরতি, ভজন-কীর্তন থেকে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
খাতায় কলমে আয়োজক বঙ্গ কুম্ভ মেলা হলেও, বকলমে এই ধর্মীয় কর্মসূচির পিছনে রয়েছে আরএসএস-সহ কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। স্বাভাবিকভাবেই যোগ রয়েছে বিজেপি’রও। রাজনৈতিক মহলের মতে লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা দেশে যে ভাবে নানা কৌশলে মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি, এটাও তারই অঙ্গ। এই ধর্মীয় কর্মসূচির মাধ্যমে আসলে বঙ্গে হিন্দত্বের অস্ত্রে শান দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
আয়োজকদের বক্তব্যে, সর্বধর্ম সমন্বয় প্রাণপীঠের সাধনা এই ধর্মতলা, প্রাচীন কাল থেকে ধর্মতলা পূণ্যরভূমি, সার্বজনীন পুজো হত। এই পূণ্য ভূমিতে প্রতিদিন কতরকম উৎসব ও আন্দোলন সভা হয়। এই মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে বঙ্গের বিভিন্ন মঠ—মিশন—আশ্রম—ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
কলকাতার মহানির্বান মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সর্বানন্দ অবধূত মহারাজ জানিয়েছেন, “ধর্মতলার প্রাচীন ঐতিহ্যম—ইতিহাসকে জাগরিত করার জন্যই এই উদ্যোগ। ধর্মঠাকুরের পুজোর জন্যেই এই অঞ্চলের নাম হয়েছিল ধর্মতলা।”
কলকাতা প্রেস ক্লাবের পাশে যে জলাশয় রয়েছে, সেই মনোহর দাস তরাগ প্রাঙ্গণে ধর্মঠাকুরের পুজো হবে।