কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

সঙ্কটে কলকাতা মেট্রো? বিপজ্জনক গার্ডারে ভর করেই যাত্রী পরিবহণ?

April 27, 2023 | 2 min read

সঙ্কটে কলকাতা মেট্রো? ছবি: ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিপজ্জনক গার্ডারে ভর করেই নাকতলা থেকে গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো চলছে কোনওরকমে। এবার কবি সুভাষ অর্থাৎ গড়িয়া স্টেশন থেকে শহিদ ক্ষুদিরামের মধ্যবর্তী লাইনে একাধিক গার্ডারে বিপত্তি ধরা পড়েছে। যার জেরে নাকতলা থেকে কবি সুভাষ রুটে দফায় দফায় মেট্রো থমকে গিয়ে বিপর্যস্ত হচ্ছে যাত্রী পরিষেবা। দুর্ভোগে নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা। আদিগঙ্গার উপর দাঁড়িয়ে থাকা পিলারগুলো বাড়তি চাপ সহ্য করতে পারছে না। যুগপৎ একই সময়ে আপ-ডাউনের মেট্রো পাশাপাশি চালানো কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগে বা পরের কোনও একটি স্টেশনে আপ বা ডাউনের রেক দাঁড় করিয়ে উল্টোদিকের মেট্রোকে পথ করে দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, কালবৈশাখীতে ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইলে ওই অংশে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মেট্রো ইঞ্জিনিয়াররা।

জানা গিয়েছে, এখন দৈনিক মেট্রো চলাচল বন্ধ হওয়ার পর, বেশি রাতে জোড়াতাপ্পি দিয়ে গার্ডারগুলি মেরামতি করা হয়। নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে সমাধান হচ্ছে না। তাদের মতে, ক্রেন দিয়ে গার্ডার তুলে স্থায়ী সংস্কার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ করে এই কাজ করতে হবে। তা নির্ভর করছে রেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপর। ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, ইস্পাতের রেললাইন ও বিদ্যুৎবাহী থার্ড রেল কেটে, তবে গার্ডার তুলে কাজ করা যাবে। কাজ হওয়ার পর ফের তা পাতা হবে। তারপর নতুন করে আবারও কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র নিতে হবে। তবেই যাত্রী পরিষেবা চালু করা যাবে। অর্থাৎ আপাতত দেশের প্রথম মেট্রো রুট ঘিরে সঙ্কটের মেঘ।

মেট্রোর কর্তারা বলছেন, সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রো চলছে না। সপ্তাহের কাজের দিনে নিয়ম মেনে, ২৮৮টি পরিষেবা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। গীতাঞ্জলি থেকে কবি সুভাষের মধ্যবর্তী লাইনে গার্ডার বিপত্তির জেরে ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হয়েছে। বিপজ্জনক অংশে দুটি রেক সেগুলিকে না চালানোর ফলে প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে। একাধিক ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। দুটি ট্রেনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ছে। ব্যস্ত সময়ে ৬ মিনিট অন্তর মেট্রো পাচ্ছেন না যাত্রীরা। অফিস টাইমে ১০ থেকে ২০ মিনিট মেট্রো থাকছে না। বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় বাড়ছে। কিন্তু মেট্রো কর্তৃপক্ষ গার্ডার বিপত্তির কথা প্রকাশ্যে জানাচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, আরপিএফের জওয়ানদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ভিড় সামলানো এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টেশনে স্টেশনে আপদকালীন নিষ্ক্রমণ এবং ঘোষণার মহড়া চলছে। তবে কি বিপদ মাথায় নিয়ে চলছে মেট্রো? গোটা বিষয়টা চেপে গিয়ে যাত্রীদের জীবন মৃত্যুর পথে কেন ঠেলে দিচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ? উঠছে প্রশ্ন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Metro station, #Kolkata, #kolkata metro, #Passengers

আরো দেখুন