ক্যাচ মিস করার খেসারত দিয়ে গুজরাতের কাছে ৭ উইকেটে পরাজিত হল KKR
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্টিভ ওয়ার সেই অমর উক্তি ক্রিকেটে এখনও সমানভাবে আলোচিত- ওহে ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে ম্যাচই ছেড়ে দিলে। আন্দ্রে রাসেলের বলে ১৬ ওভারের মাথায় সূয়াস শর্মা ক্যাচ মিস করলেন ডেভিড মিলারের। ওটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকল ম্যাচের। বড় তারকাদের ক্যাচ মিস করলে ম্যাচই শেষ। আজ আরও একবার প্রমান হয়ে গেল।
ঘরের মাঠে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে পরাজিত হল নাইট রাইডার্স। ১৩ বল বাকি থাকতেই গুজরাত টাইটান্স ১৮০/৩ করে ম্যাচ জিতে নেয়। ইডেনে এই মরশুমে কোনও দল রান তাড়া করে জিতল।
আমদাবাদে হারের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা দলকে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিয়েছিলেন রিঙ্কু সিংহ। ইডেনে তেমন অবিশ্বাস্য কিছু ঘটল না। ফলে সহজেই জিতলেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা। কলকাতা হারল ৭ উইকেটে।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানে শেষ করে। ইডেনে বৃষ্টির কারণে খেলা ৪৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয়। বৃষ্টি থামতেই শুরু হয়ে যায় গুরবাজ ঝড়। আফগান গুরবাজ ৩৯ বলে করেন ৮১ রান।
ওপেনার জগদীশন ভাল শুরু করেছিলেন। তিনি ১৯ রানে আউট হন মহম্মদ শামির বলে। বাংলার হয়ে খেলা শামির দ্বিতীয় শিকার ছিলেন শার্দূল ঠাকুর (০)। তারপরেও লিটলের এক ওভারে আউট হন বেঙ্কটেশ আইয়ার (১১) ও অধিনায়ক নীতিশ রাণা (৪)। রিঙ্কু সিং ২০ বলে ১৯ রান করেছেন। তাঁর ছোট্ট ইনিংসে রয়েছে মাত্র একটি ছয়। পাশাপাশি রাসেল এদিন নিজের জন্মদিনে দারুণ মেজাজে ছিলেন। তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়েছে সেই চেনা শট। তিনটি ছয় ও দুটি বাউন্ডারি মেরেছেন।
গুজরাতের ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়ে যায় শভমান-হার্দিক জুটি। শুভমন শুরু থেকেই মেজাজে ছিলেন। ইডেনের গ্যালারিও সমান তালে সমর্থন করল তাঁকে। যদিও অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিলেন তিনি। হাতছাড়া করলেন অর্ধশতরানও। সুনীল নারাইনের বলে রাসেলের হাতে ধরা পড়লেন ৪৯ রান করে। মারলেন আটটি চার। হার্দিকও বড় রান পেলেন না। ২০ বলে ২৬ করলেন গুজরাত অধিনায়ক। পর পর ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় গুজরাতের ইনিংস।
পরে ডেভিড মিলার এবং বিজয় শঙ্করের জুটি জয় এনে দিল গুজরাতকে। বিজয় শঙ্করের ছয়গুলো ইডেনের আলাদা আকর্ষণ। বরুণ চক্রবর্তীর বলে তিনটি ছক্কা মারেন শঙ্কর। ২৪ বলে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন বিজয় শঙ্কর। তাঁর ইনিংসে রয়েছে পাঁচটি বিশাল ওভার বাউন্ডারি ও দুটি কপিবুক মার্কা চার। পাশাপাশি সঙ্গী ডেভিড মিলার ১৮ বলে করেন ৩২ রান।