বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

আগামীকাল মোহিনী একাদশী, জেনে নিন দিনটির মাহাত্ম্য

April 30, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামীকাল মোহিনী একাদশী। পূর্ণিমা আসন্ন, তার আগে বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিটিকে বলা হয় মোহিনী একাদশী। চলতি বছর পয়লা মে-তে তিথিটি পড়েছে। দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। সেই কারণে নানা ধরনের শুভ কাজ করা হয় এই দিনে। পুরাণ অনুসারে, মোহিনী একাদশীতে মোহিনী রূপ অর্থাত্‍ নারী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীবিষ্ণু। বিষ্ণুর অসংখ্য রূপের মধ্যে এই মোহিনী রূপই একমাত্র নারী রূপ। এই তিথিতে শ্রীবিষ্ণুর নারী-রূপের আরাধনা করা হয়। মনে করা হয়, মোহিনী একাদশীতে বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর পুজো করলে অর্থ লাভ হয়। আবার মনে করা হয়, মোহিনী রূপ নিয়েই নাকি ভষ্মাসুরের থেকে মহাদেবকে রক্ষা করেছিলেন বিষ্ণু।

পুরাণ অনুসারে, সুমুদ্র মন্থনের পর অমৃতের ভাণ্ড উঠে আসতেই, অসুররা তা কেড়ে নিয়েছিল। এতে দেবতারা ভয় পেয়ে যান। এমতাবস্থায় দেবতারা নারায়ণের শরণাপন্ন হন, তখন বিষ্ণু এক অপরূপ সুন্দরী নারীর রূপ ধারণ করেন। বিষ্ণুর সেই মনোমোহিনী রূপে অসুররা মোহিত হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে রূপে দ্বারা অসুরদের ভুলিয়ে তাদের থেকে অমৃত নেন বিষ্ণু। মোহিনী অবতার সত্ত্বেও বিষ্ণুকে চিনতে পেরে যান দুই অসুর, রাহু ও কেতু। অমৃত পান করার অভিলাসে, তারা দেবতার ছদ্মবেশে দেবতাদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তাদের চিনে ফেলে সূর্য ও চন্দ্র এবং বিষ্ণুকে তা জানান। বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দিয়ে রাহু ও কেতুর মাথা শরীর থেকে কেটে আলাদা করে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অমৃত রাহু ও কেতুর গলা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। অমৃতের দৌলতে তাদের মাথা থেকে গলা অবধি অমর হয়ে যায়। সূর্য ও চন্দ্রর প্রতি রাগে রাহু, কেতু সুযোগ পেলেই সূর্য ও চন্দ্রকে গিলে ফেলে। কিন্তু রাহু, কেতুর ধড় না থাকায়, সূর্য ও চন্দ্র বেরিয়ে আসেন। এই পৌরাণিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই, পুরাণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#mohini ekadashi

আরো দেখুন