সুন্দরবনের প্রান্তিক গ্রামের মহিলাদের লড়াইকে কুর্নিশ জানালো রাজ্য মহিলা কমিশন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে টিকতে পারেননি সুন্দরবনের কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা জনৈকা মলিনা মণ্ডল। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবা‑মার কাছে ফিরে এসেছিলেন তিনি। মেয়ের এই অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন, খেতমজুর বাবা। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী লড়াই থামাননি, চালাতে থাকেন সংগ্রাম।
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। এখন তিনি সোনারপুরের একটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কলেজে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজও করেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থের কিছুটা আবার তিনি কিডনির অসুখে আক্রান্ত বাবার চিকিৎসার জন্যও পাঠান। মলিনার এই সংগ্রামকে কুর্নিশ জানাতে, তাঁকে সংবর্ধনা জানাল রাজ্য মহিলা কমিশন। গতকাল কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মলিনাসহ মোট ২০ জনকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এই মহিলারা জীবন সংগ্রাম করে লড়ে চলেছেন। নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা, ওই দপ্তরের প্রধান সচিব সঙ্ঘমিত্রা ঘোষসহ পুলিশ আধিকারিকরা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মহিলাদের ১৫ হাজার টাকার চেক ও শংসাপত্র দেওয়া হয়।