বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

একালেও স্বপ্ন দেখায় সত্যজিতের এই ৫ কালজয়ী সিনেমা

May 2, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারত তথা বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ সত্যজিৎ রায়। তিনি রুপোলি পর্দায় একের পর এক এঁকেছেন স্বপ্নের চলচ্চিত্র। তার তৈরি চলচ্চিত্র এখনও স্বপ্ন দেখায় হাজারো সিনেমাপ্রেমীকে।

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দেখুন এই পাঁচ কালজয়ী সিনেমা


পথের পাঁচালী (১৯৫৫)

সত্যজিৎ রায়ের অন্যতম সেরা কাজ। বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই ছবি। কি নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলার একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের কথা। তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, জীবনযাপন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। এই সিনেমাই বাংলা চলচ্চিত্রকে পৌঁছে দিল বিশ্ব দরবারে। পরবর্তীতে সত্যজিৎ রায় অপুকে নিয়ে আরও দুটো সিনেমা তৈরি করেন। ১৯৫৬-তে অপরাজিত এবং ১৯৫৯-এ অপুর সংসার। এই সিনেমা দুটিও নিজগুণে অতুলনীয়।


মহানগর (১৯৬৩)

সত্যজিতের অন্যতম অসাধারণ সৃষ্টি। নরেন্দ্রনাথ মিত্রের একটি ছোটোগল্প অবলম্বনে রচিত। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র এক গৃহবধূ। তিনি তার রক্ষণশীল পরিবারের গণ্ডীর বাইরে বেরিয়ে এসে সেলসপারসনের চাকরি গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে এই ছবির জন্য সত্যজিৎ রায় চতুর্দশ বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে “সিলভার বিয়ার ফর বেস্ট ডিরেক্টর” পুরস্কার পেয়েছিলেন।


চারুলতা (১৯৬৪)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘নষ্টনীড়’ অবলম্বনে তৈরি এই ছবি। সার্থক চিত্রায়নের খাতিরে এতে গল্পের কাহিনী খানিকটা পরিবর্তন করা হয়েছে। অভিনয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায় ও শৈলেন মুখোপাধ্যায়। ১৯৬৪ সালে  বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সিলভার বেয়ার পুরস্কার পায় ছবিটি।

 

অরণ্যের দিন রাত্রি (১৯৭০)

সত্যজিতের অন্যতম চর্চিত সিনেমা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত অরণ্যের দিনরাত্রি উপন্যাস অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছিল। চার বন্ধু ছুটিতে পালামৌ এর কাছাকাছি বেড়াতে যায়। সেই নিয়েই গল্প। অভিনয়ে শর্মিলা ঠাকুর, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, শমিত ভঞ্জ, রবি ঘোষ, সিমি গারেওয়াল, কাবেরী বসু প্রমুখ। 


হীরক রাজার দেশে (১৯৮০)

এই রকম রাজনৈতিক সিনেমা নিতান্তই বিরল। রুপকের আশ্রয় নিয়ে চলচ্চিত্রটিতে কিছু ধ্রুব সত্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এটি গুপী গাইন বাঘা বাইন সিরিজের একটি চলচ্চিত্র। এর একটি বিশেষ দিক হচ্ছে মূল শিল্পীদের সকল সংলাপ ছড়ার আকারে করা হয়েছে। তবে কেবল একটি চরিত্র ছড়ার ভাষায় কথা বলেননি। তিনি হলেন শিক্ষক। এ দ্বারা বোঝানো হয়েছে একমাত্র শিক্ষক মুক্ত চিন্তার অধিকারী, বাদবাকি সবার চিন্তাই নির্দিষ্ট পরিসরে আবদ্ধ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bengali Cinema, #Satyajit Ray

আরো দেখুন