১২৫ বছরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, জেনে নিন এই প্রতিষ্ঠানের গোড়ার কথা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার অর্থাৎ পয়লা মে ছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গোটা এক বছর ধরে চলা অনুষ্ঠান শেষ হল সোমবার, সমাপ্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বাগবাজারের বলরাম মন্দিরে বিশেষ পুজো ও ধর্মসভা আয়োজন করা হয়েছিল। বলরাম মন্দিরেই ছিল মুল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহসভাপতি স্বামী সুহিতানন্দ মহারাজ।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১২৫তম বর্ষপূর্তি উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে, বিশেষ পুজো ও যজ্ঞ করা হয়। এদিন সকাল থেকেই বেলুড় মঠে ছিল উপচে পড়া ভিড়। দূর-দূরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক ভক্ত ও দর্শনার্থী এসেছিলেন। ভক্তদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সারা দিন ব্যাপী নানান অনুষ্ঠান ছিল।
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ভক্তি আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে দিতে, ১৮৯৭ সালের পয়লা মে স্বামীজি রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮৬ সালে শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ তৈরি হয়। ‘যত মত তত পথ’ বাণীই মানুষকে দিশা দেখিয়েছে। শিবজ্ঞানে জীবসেবার মন্ত্র তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি নিজেই উপলব্ধি করেছিলেন, নতুন একটি ধর্মসঙ্ঘ গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বীজ বপন হয়েছিল। তাঁর দেহত্যাগের আগেই শিষ্যদের সঙ্ঘবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। স্বামী বিবেকানন্দকে সঙ্ঘ স্থাপনের দায়িত্ব অর্পণ করে গিয়েছিলেন ঠাকুর। স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ইচ্ছা ও চিন্তা অনুযায়ী মঠ ও মিশনকে বাস্তব রূপ দিয়েছিলেন স্বামীজি।