কাজ নেই, মোদী আমলে ধাক্কা খেয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি, বলছে CMIE
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মন কি বাতের শততম ভাষণে গ্রামোন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিয়ে ভুরি ভুরি দাবি করেছেন মোদী। এক কথায়, ভাষণে জয়গান করলেও, বাস্তব ছবিটা একেবারেই আলাদা। পরিসংখ্যান বলছে, গ্রামীণ ভারতের কর্মসংস্থান বিপুল মাত্রায় ধাক্কা খেয়েছে। গত তিন মাস যাবৎ বেড়েই চলেছে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা। এপ্রিলে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ ১০০ দিনের কাজের জন্য আবেদন করেছেন। যা মার্চের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। গত ১০ মাসের মধ্যে যা সর্বাধিক। এই সব তথ্য উঠে এসেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়া একোনমির সমীক্ষায়।
স্বভাবত এই পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না। বেকারত্বের পরিসংখ্যানে শহরকে পেরিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ভারত। বিগত কয়েকমাসে গ্রামীণ ভারতে ৭.৩৪ থেকে ৭.৪৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে বেকারত্বের হার। ফলে ১০০ দিনের কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
একদিকে কাজের চাহিদা বাড়ছে, অন্যদিকে মোদী সরকার একশো দিনের কাজের বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া দিয়েছে। গত অর্থ বছরে ৯৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দ কমিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। যদিও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করছেন, এবার পরিকাঠামো উন্নয়নে নাকি বিপুল বরাদ্দ হয়েছে। যার জেরে দেশজুড়ে বিপুল কর্মসংস্থান হবে। ফলে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা কমবে। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়েছে, কর্মসংস্থানের দেখা নেই! একশো দিনের কাজের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে।