আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে শুধুই মহিলারা, ভোট টানতে নয়া ফন্দি মোদীর?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতীয় সেনায় মহিলা ক্যাডেট নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল মোদী সরকার। এবার পুরোপুরি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নারীশক্তি মাধ্যমে কুচকাওয়াজ করাতে চাইছে মোদী সরকার। আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড, ট্যাবলো সবকিছু জুড়ে থাকবেন মহিলারা। এমনই পরিকল্পনা করেছে মোদী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জানা যাচ্ছে, সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারের অন্যান্য মন্ত্রককে ইতিমধ্যেই নোট পাঠিয়ে দিয়েছে তারা। কেন্দ্রের এই অভিনব উদ্যোগের খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো সাড়া পড়েছে দেশজুড়ে। এছাড়াও প্রজাতন্ত্র দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠানের পারফরমেন্সেও শুধু মহিলারাই থাকবেন। মোদী সরকারের দাবি, সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের অংশগ্রহণকে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চব্বিশে ঠিক ভোটের মুখে রাজধানীর রাজপথ, নারীশক্তির ক্ষমতায়নের প্রতীক হয়ে উঠবে। আর এতেই ভোট রাজনীতির কৌশল দেখছেন বিরোধী দলগুলি। শেষ পাঁচ বছরে বিজেপি ল্যাজ গোবরে হয়েছে একমাত্র বাংলা। গোটা দেশে চলা বিজেপির বিজয় রথ বাংলায় এসে থেমেছে। যার অন্যতম কারণ মহিলা ভোট। একুশের ভোটে বঙ্গে মহিলা ভোটে দাগ কাটতে পারেনি গেরুয়া শিবির। সেই হার থেকেই শিক্ষা নিয়ে মহিলা ভোট নিজেদের অনুকূলে আনতে মরিয়া বিজেপি।
বিরোধীদের দাবি, মহিলা ভোটারদের মন পেতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড নারীদের নিয়েই করাতে চাইছে মোদী সরকার।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পুরুষদের ছাপিয়ে গিয়েছে মহিলা ভোটার বৃদ্ধির হার। গত বছর ভারতের মহিলা ভোটার ছিল ৪৬.১ কোটি। যা ২০১৯-এর তুলনায় প্রায় ২.৩ কোটি বেশি।
২৬ জানুয়ারির প্যারেডে দেশের সামরিক শৌর্য, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। দেশ বিদেশ মিলিয়ে কোটি কোটি মানুষ তা দেখেন, সকলের নজর থাকে এমন একটি অনুষ্ঠানের দিকে। এই মঞ্চকে ব্যবহার করার সুযোগ ছাড়া করতে চাইছে না বিজেপি। তাই এবার আর বিশেষ কোনও কন্টিনজেন্ট বা বিভাগ নয়, পুরো কুচকাওয়াজ জুড়েই থাকবেন মহিলারা।