তৈরি হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ, রাজ্যে কবে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘মোকা’?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যের মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন, কবে আসছে ‘মোকা’? ঘূর্ণিঝড় কি আদৌ আছড়ে পড়বে রাজ্যে? যদি ‘মোকা’ আছড়ে পড়ে, তাহলে কবে?
এর জবাবে মঙ্গলবার বিকেলে আবহাওয়ার বুলেটিনে আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, মোকা সম্ভবত বাংলার দিকে আসবে না। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়ে মুখ ঘুরিয়ে বাংলাদেশ-মায়ানমারের দিকে চলে যাবে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এই মুহূর্তে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর পর আরও শক্তি বাড়িয়ে বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হতে পারে।
মোকা তৈরি হওয়ার পরে সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে গিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘাপটি মেরে থাকবে। সেখান থেকে শক্তি সঞ্চয় করে তারপর দাপুটে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। ১১ তারিখ নাগাদ উত্তর-পূর্ব অভিমুখে এগোবে ঘূর্ণিঝড়। এই সময় তার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। মোকার ল্যান্ডফল হতে পারে ১২ তারিখ নাগাদ। ওই সময় তার গতি আরও বাড়বে। মায়ানমার উপকূলে তাণ্ডব করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।
অন্যদিকে মৌসম ভবন জানিয়েছে, ১১ মে, বৃহস্পতিবার ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিমি। শুক্র এবং শনিবার ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি।
বাংলায় মোকার প্রভাবে তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই বেড়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামিকাল তাপমাত্রা আরও একটু বাড়বে। কলকাতা এবং বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে পারদ ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি হতে পারে। তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি হয়েছে এই জেলাগুলিতে। তবে ১৩ তারিখ নাগাদ মোকার ল্যান্ডফলের পরে কলকাতা সংলগ্ন এবং উপকূলবর্তী ৪ জেলায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
উপকূলবর্তী দুই ২৪ পরগনায় আর মেদিনীপুরে ৩ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদেরা। উত্তরের জেলাগুলিতেও আগামী তিনদিন তাপপ্রবাহ চলবে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপমাত্রা বাড়বে। তবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গেছে।