কর্ণাটকের আফটার শক! ‘ব্র্যান্ড মোদী’-র হারের দায়ে পদ খোয়াচ্ছেন কে?

May 14, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কর্ণাটকে হারের মুখোমুখি হয়েছে বিজেপি। দক্ষিণাত্যে শূন্য হতেই থরহরি কম্প উঠেছে গেরুয়া শিবিরে। মোদী ম্যাজিকে আর ভোট আসছে না, ধর্মীয় মেরুকরণের হাতিয়ার এখন ভোঁতা। কর্ণাটকে মুখ ছিলেন মোদী, শাহ বারবার তা দাবি করে এসেছেন। কিন্তু ডবল ইঞ্জিন বেলাইন হতেই দায় অন্য নেতার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির।

শোনা যাচ্ছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে সরিয়ে ফেলার প্রস্তুতি শুরু আরম্ভ করে দিয়েছেন মোদী-শাহ। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনের সর্বেসর্বা পদে অন্য কাউকে বসাতে চাইছে সঙ্ঘ। সন্তোষের বিদায় কার্যত নিশ্চিত। কিন্তু সন্তোষের বিদায় ঘন্টা বাজতেই শঙ্কিত বঙ্গের গেরুয়া বাহিনী।

বাংলার বিজেপি নেতাদের একদলের বক্তব্য, একুশের আগে থেকেই বাংলায় বিজেপি সংগঠনে রাম রাজত্ব চালাতেন সন্তোষ এবং প্রদীপ যোশী। এদের সঙ্গে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সংগঠন সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কোন্দল ছিল চরম পর্যায়ে। দিল্লির দাদাগিরি দিলীপ-সুব্রতরা মানতে পারেননি। ফলে পদ খোয়াতে হয়েছিল দিলীপদের। বদলে পদ পান সন্তোষের ঘনিষ্ঠ নেতারা। সন্তোষের কৃপায় বহু নেতা রাজ্যে কমিটিতে স্থান পায়। সন্তোষের আসন টলমল হতেই তারা গেরুয়া।

উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় কমিটি ও বিভিন্ন রাজ্যের কমিটিগুলির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে সব সময় সঙ্ঘ মনোনীত ব্যক্তিকে বসানো হয়। এটাই বিজেপির রেওয়াজ। সন্তোষের উপর ক্ষেপে উঠেছেন মোদী, শাহ। কর্ণাটকের ভূমিপুত্র সন্তোষকে নিজ রাজ্যের ভোটে নাক গলাতে দেননি মোদী। সে রাজ্যেরনপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার সঙ্গে সন্তোষের সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ। শোনা যায়, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সিদ্ধারামাইয়া, প্রভাব খাটিয়ে সন্তোষকে কর্ণাটক ছাড়া করেছিলেন। পরবর্তীতে সুযোগ পেয়ে, বিজেপির সর্বভারতীয় পদ বসেই সন্তোষ মাঝপথে সিদ্ধারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন। বি এল সন্তোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পদে বসে তিনি বাংলাসহ একাধিক রাজ্যে নিজের পছন্দের লোক বসিয়ে গিয়েছেন।

সন্তোষ পদ হারালে, তার প্রভাব পড়বে বঙ্গ বিজেপি। আদি বিজেপি তথা দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠী ফের ক্ষমতাশালী হয়ে উঠতে পারে বলে জল্পনা চলছে খোদ বিজেপির অন্দরে।

#Karnataka Elections, #Karnataka results, #Narendra Modi, #bjp, #politics, #BL Santhosh