মোকার পর বিপর্যয়! জানেন কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আছড়ে পড়েছে মোকা। রক্ষা পেয়েছে বাংলা। কিন্তু মোকার পর কে?
এখনও বাকি রয়েছে বেশ কিছু ঝড়ের নাম। এরপর ধেয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। মোকা নামটি দিয়েছিল ইয়েমেন।
এর আগে ২০২২ সালে ভারতীয় উপকূলের উপর তিনটি ঝড়ের ভ্রুকুটি ছিল। সেগুলি আসলেও, কোনটাই সাংঘাতিক রূপ নেয়নি। ২০২২ সালে ভারতের উপকূলে আঘাত করেছে ঘূর্ণিঝড় অশনি, সিতরাং ও ম্যান্ডোস। উত্তর ভারত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলে ঝড়ের যে তালিকা রয়েছে, তা থেকেই নাম বরাদ্দ হয়েছে। এই অঞ্চলের ১৩টি দেশ ১৩টি করে নাম দিয়েছে ঝড়ের। বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও আরব আমীরশাহী ও ইয়েমেন তেরোটি দেশ ঝড়ের নামকরণ করেছে। ১৬৯টি নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ২০২০ সালে। সেই নামের তালিকার প্রথম সারির শেষ ঝড় ছিল মোখা। বাংলাদেশ রয়েছে সবার উপরে, আর শেষ দেশ ইয়েমেন। ফলে এবার আবার ইয়েমেনের পর ফের বাংলাদেশের নামকরণের পালা।
উত্তর ভারত মহাসাগরের ৪৫ ডিগ্রি পূর্ব থেকে ১০০ ডিগ্রি পূর্ব পর্যন্ত এলাকায় তৈরি হওয়া গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে উল্লেখিত ১৩ দেশ। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত ঘূর্ণিঝড় কমপক্ষে তিন মিনিট বাতাসে স্থায়ী হয় এবং গতিবেগ সর্বনিম্ন ঘন্টায় ৬৩ কিলোমিটার হয়, সেই ঝড়েরই নামকরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, মার্চ মাস থেকে ভারত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের মরশুম শুরু হয়।ঘূর্ণিঝড়ের মোক্ষম সময় হল এপ্রিল ও মে মাস। আয়লা থেকে ইয়াস, সবই এসেছে মে মাসে।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকে, পুজোর পর পর একটি করে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া প্রতি বছরের প্রবণতায় পরিণত হয়েছে।