শিয়রে নির্বাচন, ব্যাপম দুর্নীতিতে বেসামাল মধ্যপ্রদেশে BJP-র comeback শঙ্কায়?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে মধ্যপ্রদেশ নির্বাচন। কিন্তু তার আগে সে রাজ্য নিয়ে বিপাকে গেরুয়া শিবির, মধ্যপ্রদেশে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ জমেছে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুর্নীতির কারণেই বেলাইন হতে পারে মধ্যপ্রদেশের ডবল ইঞ্জিন সরকার। যোগ্য প্রার্থীদের পিছনে ফেলে সে রাজ্যে চাকরি পেয়েছে বিজেপি ও তাদের শাখা সংগঠনের লোকজন।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সক্রিয় সদস্য থেকে আরম্ভ করে জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের লোকজন, এমনকি ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার মুখপাত্র, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকেই বিজেপি আমলে সরকারি চাকরি পেয়েছেন। বলাবাহুল্য, যোগ্য কর্মপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে তাদের চাকরি দিয়েছে, সে রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার। কয়েক মাস পরেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেরাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের গ্রাম স্বরাজ অভিযানে এভাবে বেছে বেছে নিয়োগের ঘটনায় সরগরম রাজনীতি। সরাসরি সঙ্ঘ পরিবার ঘনিষ্ঠদের বেছে বেছে সরকারি চাকরি দেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। অভিযোগ উঠছে, সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দিতে যোগ্য প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ে ডেকেও তা বাতিল করা হয়।
এর পাশাপাশি সে রাজ্যে বিজেপি আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়েছে বলে শোনা যায়। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বনাম শিবরাজ সিং চৌহান গোষ্ঠীর লড়াইয়ে আরও বেসামাল বিজেপি। প্রার্থী তালিকা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন; সব কিছু নিয়ে দুই শিবিরে সংঘাতের আবহ। ভোট ঘোষণা হলে সংঘাত আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দুর্নীতির জোড়া ফলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রাককালে প্রমাদ গুনছেন মোদী-শাহ।
অভিযোগ উঠছে, পঞ্চায়েত দপ্তরে ব্লক এবং জেলা কোঅর্ডিনেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। সেন্টার ফর আন্ত্রেপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্ট পক্ষ থেকে আবেদনপত্র জমা নিয়ে ইন্টারভিউয়ের চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু হঠাৎই জানানো হয়, সব ইন্টারভিউ বাতিল। কর্মপ্রার্থীরা বারবার যোগাযোগ করলে, বলা হয়, সময়মতো ডাকা হবে। গত মার্চে হঠাৎই জানা যায়, ওই সব পদে ৯০ জনকে ঘুরপথে নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মপ্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, এ ঘটনায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব শঙ্কিত। পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা চলছে।
মধ্যপ্রদেশে সরকারি চাকরি এবং ডাক্তারিতে ভর্তির পরীক্ষা নিয়ে ‘ব্যাপম’ কেলেঙ্কারির স্মৃতি আজও তাজা। সম্প্রতি কর্ণাটক জিতেছে কংগ্রেস। বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে ঠিকাদারদের থেকে ৪০ শতাংশ কমিশন নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তোলপাড় হয়েছিল কর্ণাটক। বিজেপি সরকারকে ‘৪০ শতাংশ কমিশনের সরকার’ আখ্যা দিয়ে প্রচার চালিয়েছিল কংগ্রেস, ফল মিলেছে। এবার সেই দুর্নীতির অস্ত্রে শান দিয়েই মধ্যপ্রদেশে নামতে চলেছে হাত শিবির।