পরিস্থিতির অবনতি হলে নিরব থাকতে পারে না প্রশাসন- মণিপুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ অর্থাৎ বুধবার সকালে দৃষ্টিভঙ্গি মণিপুর নিয়ে একটি প্রতিবেদ প্রকাশ করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল হিংসাকবলিত মণিপুরে এখনও ব্যাপক ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেনি রাজ্যের বিজেপি সরকার। যা নিয়ে বিভিন্নমহলে ক্ষোব তৈরি হয়েছে। এদিনই সুপ্রিম কোর্ট মণিপুর হিংসা সংক্রান্ত একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানাল।
সুপ্রিম কোর্টের মতে কোনও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না প্রশাসন। প্রশাসকরা যাতে চোখ বন্ধ করে না থাকেন, তা আদালত নিশ্চিত করবে বলেও জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। এর পাশাপাশি হিংসায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা এবং পুনর্বাসন দেওয়ার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
বুধবার বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ হিসাবে বলে, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। সুপ্রিম কোর্ট শুধু এটুকুই নিশ্চিত করতে চায় যে, রাজনৈতিক প্রশাসকরা যেন এই পরিস্থিতিতে চোখ বন্ধ করে বসে না থাকেন।” মণিপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে শান্তিরক্ষার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দিয়েছে আদালত। আদালতকে দেওয়া হলফনামায় মণিপুর সরকার জানিয়েছে, হিংসায় শিকার হওয়া অন্তত ৪৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাওয়া ৩ হাজার মানুষকেও ফেরার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
মণিপুর আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এ মাসের প্রথম সপ্তাহে। এবার সংঘাত উপজাতি বনাম অনুপজাতি – কুকি বনাম মেইতেই। মে মাসের ৩ তারিখে রাজ্যের দশটি জেলায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় সমস্ত উপজাতির এক মিলিত পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে। এই পদযাত্রা সংগঠিত হয়েছিল মণিপুর হাইকোর্টের মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি বলে ঘোষণা করা যায় কিনা, তা রাজ্য সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায়। এখনও পরিস্থিতি থনথমে মণিপুরে। শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন।