বাঙালির Cannes যাত্রায় নয়া সংযোজন, ছবি নিয়ে কলকাতার যুধাজিৎ পাড়ি দিলেন ফ্রান্সে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঙালি সিনেমা বানিয়েছে দাপটের সঙ্গে, সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণালের ঐতিহ্য আজও অক্ষত রেখেছেন তরুণ বাঙালি সিনেমাওয়ালারা। তেমনই একজন হলেন বাঘাযতীনের যুধাজিৎ বসু। কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি মনোনীত হয়েছে। উল্লেখ্য, তিনিই একমাত্র বাঙালি যাঁর স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি কানে প্রদর্শিত হতে চলেছে। আগামী ২৪ মে ছবিটি দেখানো হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ভর্তি হলেও, তিনি চলে আসেন মাস কমিউনিকেশন পড়তে। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনার পর পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার পরীক্ষায় গোটা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন যুধাজিৎ। এরপর তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনা নিয়ে পড়াশোনা আরম্ভ করেন। কানে যুধাজিতের নেহেমিচ ছবিটি দেখানো হবে। মারাঠি ভাষায় নির্মিত ২৩ মিনিটের ছবিতে মহারাষ্ট্রের গাঁওকর নামের একটি প্রথার কথা উঠে এসেছে।
বিভিন্ন গ্রামে আজও প্রথাটি রয়ে গিয়েছে। ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের তাঁদের গ্রাম থেকে বহু দূরে কোনও পরিত্যক্ত জায়গায় রাখা হয়। এই সময়ে কোনও পুরুষ ওই মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। কেবল পরিবারের মহিলারাই খাবার নিয়ে যেতে পারেন। মূল গ্রাম থেকে অনেকটাই দূরে মহিলাদের রাখা। এই নিয়মের কারণে বছর তিনেক আগে মহারাষ্ট্রের গারচিরোলি গ্রামের এক মহিলার অনাহারে মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনাকে ভিত্তি করেই ছবির গল্প সাজিয়েছেন তরুণ পরিচালক। করোনার সময় গাঁওকরে থাকা একটি মেয়ে ও তার পরিযায়ী শ্রমিক প্রেমিককে নিয়ে ছবিটি তৈরি হয়েছে। গত নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের সাতারাতে ভোর নামের এক গ্রামে ছবির শ্যুটিং হয়েছে।