হেলে পড়েছে তুঙ্গনাথ মন্দির, যোশীমঠের পর বিপদের মুখে গাড়োয়াল হিমালয়?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রকৃতি, তার ধারণ ক্ষমতার সীমা পেরোলেই বিদ্রোহ করে। সেই প্রকৃতিকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে মানুষ যা ডেকে আনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। কয়েক মাস আগেই যোশীমঠের ঘটনা সামনে এসেছিল। এবার এএসআইয়ের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও ধসের ঘটনায় ইঙ্গিত মিলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। দেখা যাচ্ছে, উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগের তুঙ্গনাথ মন্দির হেলে পড়েছে। ৫-৬ ডিগ্রি হেলে গিয়েছে তুঙ্গনাথ মন্দির। এছাড়াও মন্দির চত্বরে থাকা ছোট ছোট স্থাপত্যগুলি ১০ ডিগ্রি হেলে গিয়েছে। এই ঘটনায় ভক্ত, পর্যটকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
হেলে পড়ার কারণ খুঁজে, তারপর মন্দির মেরামতিতে এগোবে এএসআই, এমনই খবর মিলছে। উত্তরাখণ্ডে পঞ্চ কেদারের অন্যতম গাড়োয়াল হিমালয়ের এই তুঙ্গনাথ মন্দির, যা ১২ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটিই বিশ্বের সর্বোচ্চ শিবমন্দির। তুঙ্গনাথ মন্দিরটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বদ্রী-কেদার মন্দির কমিটি। এই শিবমন্দিরকে মনুমেন্ট অব ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। সে কাজও আরম্ভ হয়েছে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে আপত্তি করেছে বদ্রি কেদার মন্দির কমিটি এবং স্থানীয় প্রশাসন। তুঙ্গনাথকে ন্যাশনাল হেরিটেজ ঘোষণার উদ্যোগেও আপত্তি জানানো হবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই আবহেই এমন বিপত্তি ঘটল। এএসআইয়ের আধিকারিকদের মত, ওই অঞ্চলের মাটি বসে যাওয়ায় মন্দির হেলে যেতে পারে। আপাতত মন্দিরের গায়ে বিশেষ গ্লাস স্কেল বসানো হয়েছে। এর ফলে বোঝা যাবে, মন্দির বসে যাচ্ছে, নাকি হেলে যাচ্ছে। গাড়োয়াল হিমালয়জুড়ে বড় বিপদের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে ভেবে তড়িঘড়ি মেরামত শুরু করার পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মন্দির চত্বরে পর্যবেক্ষণে পাঠানো হচ্ছে এএসআইয়ের টিম। মূল কারণ খতিয়ে দেখে তারপর দ্রুত তা মেরামতির চেষ্টা চালানো হবে। আবার মনে করা হচ্ছে, মন্দিরের ভিতের পাথর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই পাথর বদলানোর চেষ্টা চালানো হবে। বদ্রি কেদার টেম্পল কমিটির সঙ্গে আলোচনার করে মন্দির সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বলে জানা গিয়েছে।