মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হয়রানির বিষয়টি দু’বছর আগেই জানতেন মোদী!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কুস্তিগিরদের যৌন হয়রানির হেস্তনেস্ত করতে বিজেপির ওপর চাপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চাপ বাড়িয়েছেন বিজেপির নেতারাও। এবার জানাজানি হয়েছে, এক মহিলা কুস্তিগির যৌন হেনস্তার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই দুই বছর আগে জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিকারের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে কিছুই করা হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর গত ২৮ এপ্রিল দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে দুটি এফআইআর দাখিল করে, তাতে এই বিষয়টি জানা গেছে। এফআইআরে এক মহিলা কুস্তিগির লিখেছেন, দুই বছর আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, ব্রিজভূষণের হাতে তাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। তা শুনে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ক্রীড়া মন্ত্রক দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। মন্ত্রকের থেকে তাঁদের ফোন করা হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি।
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে দু’টি এফআইআর করেছেন কুস্তিগিরেরা। তাতে সই রয়েছে ছ’জন কুস্তিগিরের। এক নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবাও সই করেছেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিররা অভিযোগ করেছেন, তিনি নানা অছিলায় এবং আশ্বাস দিয়ে তাঁদের শরীর আপত্তিজনক ভাবে স্পর্শ করতেন। ২০১২ সাল থেকে সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি রয়েছেন বিজেপি সাংসদ। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ কুস্তিগিরদের।
কুস্তিগিরদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের ব্যবহার অথবা শাসক দলের আচরণ নিয়ে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। গত শুক্রবার ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা সরাসরি কুস্তিগিরদের পাশে এসে দাঁড়ান। সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব, মোহিন্দর অমরনাথ, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তেরা এক বিবৃতিতে দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘কুস্তিগিরেরা তাঁদের পদক গঙ্গায় বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটা খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। এই কুস্তিগিরেরা দেশকে সম্মানিত করেছেন। দেশকে গৌরবান্বিত করেছেন। আশা করি, তাঁরা সুবিচার পাবেন।’
ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী ও প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়াও কুস্তিগিরদের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছিলেন।