শুক্রবারের রেল দুর্ঘটনায় বাংলার মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শুক্রবারের রেল দুর্ঘটনায় বাংলার মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমি আশা করব সব রাজ্য সরকারই তাঁদের রাজ্যের মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াব। আমরাও সর্বোতভাবে পরিবারগুলির পাশে আছি। বাংলার অনেক মানুষ এই ট্রেনে ছিলেন। আমাদের রাজ্যের বড় ক্ষতি।’
শনিবার এদিন ডুমুরজলা থেকে কপ্টারে বালেশ্বর যান মুখ্যমন্ত্রী। নেমে পথমে যান দুর্ঘটনাস্থলে। তারপর সেখান থেকে যান হাসপাতালে। স্থানীয় স্কুলেও যান, যা কার্যত মর্গ হয়ে উঠেছে, ক্লাসরুমে রাখা রয়েছে লাশের সারি। ওড়িশা সরকারের আধিকারিক, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ, রেল কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
‘১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস’ আর পাঁচটা দূরপাল্লার ট্রেনের চেয়ে সামান্য আলাদা। বেড়াতে যাওয়ার আনন্দে উজ্জ্বল মুখ প্রায় চোখে পড়ে না এই ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে। চোখে পড়ে না বাড়ি ফেরার স্বস্তিও। বরং দুশ্চিন্তা আর দুর্ভাবনাই লেপ্টে থাকে ভিড়ে। উদ্বেগের স্বরই শোনা যায় বেশি। যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই ধীরে ধীরে ট্রেনে ওঠেন, কেউ বা হুইলচেয়ারে। কারও কারও হাতে স্যালাইনের বোতল লাগানো অবস্থাতেও দেখা যায়। তাঁদের স্টেশনে ছাড়তে আসা পরিজনদের বিদায়ও বড়ই উদ্বেগে ছেয়ে থাকে। এ ট্রেন যে ‘আনন্দযাত্রা’র নয়, তা যেন শালিমার স্টেশনেই স্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ, করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে মূলত দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশেই যান বহু মানুষ। ট্রেনটি যেহেতু হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই এ রাজ্যের মানুষ। মূলত ভেলোরে এবং তা ছাড়াও চেন্নাই অ্যাপোলো-সহ দক্ষিণ ভারতের একাধিক বড় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান তাঁরা। থাকেন প্রচুর শিশু ও বয়স্ক মানুষও।
ইতিমধ্যেই বাংলার অনেকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাঁদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। কেউ তামিলনাড়ু, কেউ চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রি বা অন্য কাজে যাচ্ছিলেন। ছিলেন বহু রোগী, যাঁরা চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, নবান্নে কন্ট্রোল রুম চলছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তদারকির কাজ চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।