মোদী আমলে আরও এক বদল! মিশে যাচ্ছে রাজ্যসভা ও লোকসভার দুই সচিবালয়?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী আমলে কেবল বদলে ফেলার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। সরকার হোক বা সংসদ; সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বদল, সেই বদল উন্নতর দিকে নয়, সেই বদলের তাগিদ বদলে ফেলা। পুরনোকে বদলে নতুন কোনও প্রথা শুরু করা, ব্র্যান্ড মোদীর প্রচার। মোদী সরকারের ন’বছরে এটাই ছবি। নয়া সংসদ ভবন চালু হয়েছে। পুরনো সংসদ ভবনকে মিউজিয়ামে পরিণত করা হবে। শোনা যাচ্ছে, আগামীদিনে হয়ত লোকসভা এবং রাজ্যসভার দুটি পৃথক সচিবালয় রাখা নাও হতে পারে। উভয় কক্ষের জন্য একটি অভিন্ন যৌথ সচিবালয় তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে, বলেও জানা গিয়েছে।
আগেই লোকসভা ও রাজ্যসভার জন্য পৃথক টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে, সংসদ টিভি নামে একটিই টিভি চ্যানেল চালু করা হয়েছে। এবার সেই একই কায়দায় দুই সচিবালয়কেও মিশিয়ে দেওয়া হবে, এমন খবর মিলছে। ব্যয় সংকোচ এবং সমন্বয় বৃদ্ধি, জোড়া কারণ দেখিয়ে এমনটা করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিল সংক্রান্ত আলোচনায় দুই সভার সাংসদদের পাশাপাশি দুই সচিবালয়ের সদস্যদের নিয়েও সংসদীয় যুগ্ম কমিটি যখন গঠন করা হয়। তাই সরকারের দাবি, অযথা দুই পৃথক প্রতিষ্ঠানের মতো দুই সচিবালয় চালালে জটিলতা বাড়ে। তাই নাকি একটিই মাত্র প্রতিষ্ঠান রাখার কথা ভাবা হয়েছে। এমনটা হলে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয় কক্ষের কাজেই সমন্বয় সম্ভব হবে, মোদী সরকারের দাবি এমনই।
দুই সচিবালয়কে মিলিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে মোদী সরকার বিরোধী দলনেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয় সভার সচিবালয়েরই সর্বোচ্চ আধিকারিক হিসেবে একজন করে সেক্রেটারি জেনারেল থাকেন।
লোকসভার ক্ষেত্রে সেক্রেটারি জেনারেল স্পিকারকে এবং রাজ্যসভার সেকেক্রারি জেনারেল চেয়ারম্যানকে রিপোর্ট করেন। সেক্ষেত্রে, সচিবালয় মিশে গেলে, এই দুই পদের কী হবে? সম্মিলিত সচিবালয়ের প্রধানের জন্যে কি নতুন কোনও পদের সৃষ্টি করা হবে? কীভাবে মিশবে দুই সচিবালয়, কী কী পদ থাকবে, তাদের কাজের পরিসর কী হবে; ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় নিয়ে সমাধান খোঁজার জন্য, বিশেষজ্ঞ গঠন করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।