রেশন দোকানে আলাপ! কী নতুন তথ্য মিলল মুম্বইয়ের পেসার কুকার হত্যাকাণ্ডে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সরস্বতী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরম্পরায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। তদন্ত এগোচ্ছে, সামনে আসছে এক একটি তথ্য। জানা গিয়েছে, নিহত সরস্বতী বৈদ্য ছিলেন অনাথ। ২০১৪ সালে এক রেশন দোকানে অভিযুক্ত মনোজ সানের সঙ্গে তার প্রথম আলাপ হয়। অবিবাহিত মনোজ বোরিভালির ওই রেশন দোকানেই কাজ করত। ২০১৫ সাল থেকে তারা এক সঙ্গে থাকা শুরু করেন। মীরা রোডের গীতা আকাশদীপ আবাসনের জি উইংয়ের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তারা। তারপর ২০১৭ সালে ওই আবাসনেরই জে উইংয়ের আট তলার ফ্ল্যাটে উঠে আসেন মনোজ ও সরস্বতী। জেরায় পুলিশকে একথা জানিয়েছে ওই অভিযুক্ত প্রৌঢ়। যদিও, সরস্বতীকে খুনের অভিযোগ মানতে চায়নি মনোজ। মনোজের দাবি, তার সঙ্গী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। অভিযুক্ত প্রৌঢ় এইচআইভি আক্রান্ত বলেও জানা গিয়েছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছে, মনোজ জেরায় জানিয়েছেন তিনি এইচআইভি আক্রান্ত। ২০০৮ সালে সে’কথা জানতে পারেন। তার চিকিৎসা চলছে। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছিল। সে সময় এইচআইভিতে আক্রান্ত হন তিনি।
অভিযুক্তের বক্তব্য, সরস্বতীর সঙ্গে কোনও শারীরিক সম্পর্ক ছিল না। ‘মেয়ের মতো’ই দেখতেন সরস্বতী বৈদ্যকে; পুলিশি জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন অভিযুক্ত মনোজ সানে। অভিযুক্ত জেরায় জানিয়েছেন, ৩২ বছরের সরস্বতী দশম শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ার কথা ভাবছিলেন। মনোজ তাকে অঙ্ক শেখাতেন। তাদের ফ্ল্যাটের একটি দেওয়ালে একটি ব্ল্যাকবোর্ডও দেখতে পেয়েছে পুলিশ। সেই বোর্ডে অঙ্ক কষা ছিল।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গত রবিবার সরস্বতীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে তাঁর দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ, নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইয়ের জে জে হাসপাতালে। এহেন নৃশংস ঘটনায় উত্তাল মহারাষ্ট্র।