Manipur violence: অমিত শাহ ব্যর্থ, এবার বিশ্বশর্মায় আস্থা বিজেপি’র?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৩ মে থেকে মণিপুরের হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার মতো কোনও ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন করে হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবারও হিংসার খবর পাওয়া গেছে। ইম্ফল পশ্চিম ও কাংপোকি জেলার মধ্যবর্তী একটি গ্রামে হিংসয় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে এখনও মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় জানানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গোটা জুন মাসেই মণিপুরে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি বজায় রাখতে চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
দেশের বিরোধী দলগুলি বলছে, মণিপুর জ্বলছে। অথচ যারা বড় বড় করে Act East –এর কথা বলেছিল, তারা এখন মণিপুর নিয়ে উদাস হয়ে আছে! আর কেন্দ্রের এই উদাসিনতা হিংসাকবলিত মণিপুরের মানুষদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছে।
অন্যদিকে মণিপুরের পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে গেছে বুঝতে পেরে এবার উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপি’র ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হিসেবে পরিচিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে শনিবার মণিপুরে পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চার দিনের মণিপুর সফরের পরও ওই রাজ্যে সহিংসতা না কমায় এবার হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে মণিপুর পাঠাতে হল বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে গিয়েই তিনি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সঙ্গে লম্বা বৈঠক করেছেন। তবে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা এখনো জানানো হয়নি।
মণিপুরে প্রায় এক মাস ধরে হিংসার পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। নির্দিষ্টভাবে মৃত মানুষের সংখ্যা রাজ্য সরকার আর জানাচ্ছে না। কারণ, প্রায় প্রতিদিনই দুই বা তিনজন করে মারা যাচ্ছেন। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার তদন্ত সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) গতকাল শুক্রবার একজন ডিআইজি (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল) পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত টিম (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট) গঠন করেছে। ছয়টি হিংসার ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্ত করবে সিট। সেই সূত্রে তারা মণিপুরের হিংসার সার্বিক তদন্ত করবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি শনিবার অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যপাল অনুশুয়া উইকিকে চেয়ারপারসন করে একটি শান্তি কমিটি গড়েছে। কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়াও আছেন সব দলের প্রতিনিধি এবং সমাজের বিশিষ্টজনদের রাখা হয়েছে। কমিটি বিবাদমান দুপক্ষের সঙ্গে বসে শান্তি বজায় রাখার কাজ করবে। মৈতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদেরও কমিটিতে রাখা হয়েছে।