করোনা টিকা নেওয়া ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস! অভিযোগ RTI কর্মীর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: করোনা টিকা নেওয়া ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস! এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলে। করোনা টিকা নেওয়া প্রত্যেক ভারতীয় ফোন নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, আধার নম্বর, ভোটার আইডিসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য, এমনকি তাদের পরিবারের সকলের বিস্তারিত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। কেবল ফাঁসই হয়নি, সেগুলো সমাজ মাধ্যমের মতো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে জনসমক্ষে রয়েছে, যে কেউ তা পেতে পারে। এই ঘটনায় মোদী সরকারকে কাঠগোড়ায় তুলছেন সাকেত। তাঁর সাফ প্রশ্ন, সরকারের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তা ফাঁস হল কী করে? তাহলে নিরাপত্তা কোথায়?
বিরোধী দলের নেতাদের একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে টেলিগ্রামে; তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাংসদ সুস্মিতা দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, কে সি ভেনুগোপাল, রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভী, সঞ্জয় রাউতের মতো রাজনীতিকরা। তথ্য ফাঁস হয়েছে সাংবাদিকদেরও, রাজদীপ সারদেশাই, বরখা দত্ত, ধান্য রাজেন্দ্রন, রাহুল শিবশঙ্করদের ব্যক্তিগত তথ্য নাকি প্রকাশ্যে ঘুরছে।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, মোদী সরকার বরাবর দাবি করে, দেশবাসীদের তথ্য অত্যন্ত নিরাপদে রয়েছে তাদের অতিসুরক্ষিত ডাটা বেসে। তাহলে কী করে করোনা ভ্যাক্সিন নেওয়া ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হল? এই তথ্য ফাঁস নিয়ে কি আদৌ মোদী সরকার অবগত বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে কি এই তথ্য ফাঁসের খবর রয়েছে? কেন তারা দেশবাসীদের এ বিষয়ে জানালেন না? সাধারণ মানুষের পাসপোর্ট নম্বর, আধার নম্বরের মতো একান্ত গোপনীয় তথ্য সরকারের হাত থেকে কীভাবে বাইরে এল? এই গোটা ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের। মোদী সরকারের ইলেকট্রনিক্স, যোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলান অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর দপ্তরের অধীনেই এসব তথ্য থাকার কথা। এই তথ্য ফাঁস অশ্বিনী বৈষ্ণবের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। এরপরেও কতদিন মোদী অশ্বিনী বৈষ্ণবের অযোগ্যতাকে আড়াল করে যাবেন? উঠছে সেই প্রশ্ন।’
এদিন অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে কো-উইন পোর্টাল নিরাপদ। তবে একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতেই বলা হয়েছে যে তথ্য ফাঁসের অভিযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।