গুজরাতে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়, নিজ রাজ্য রক্ষায় আগাম ময়দানে মোদী
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গুজরাত উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। গতকাল ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়টি মুম্বই উপকূল থেকে ৫০০-৬০০ কিলোমিটার এবং গুজরাতের দ্বারকা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে রয়েছে। প্রতি ঘন্টায় সাত কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি এগিয়ে আসছে। ১৫ জুন দুপুরের মধ্যে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ এবং পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বিপর্যয়। তার আগে দ্রুতে মাঠে নামলেন মোদী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি কে মিশ্র, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবা, ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রনসহ বিভিন্ন মন্ত্রকের পদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে সোমবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। যে জায়গায় ঘূর্ণিঝড়টির আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেখান থেকে বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে জরুরি পরিষেবা সচল রাখার বিষয়েও জোর দিয়েছেন তিনি।
আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ সকাল থেকে কচ্ছ ও পোরবন্দর উপকূলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ আরম্ভ হয়েছে। কচ্ছ জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১৫ জুন পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের কর্মীদের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও, সেনা, নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে প্রশাসন। মহরাষ্ট্রের মুম্বই ও থানেতে হলুদ এবং গুজরাতের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।