সাংবাদিককে হুমকি স্মৃতি ইরানির, কড়া প্রতিক্রিয়া দিল মুম্বই প্রেস ক্লাব
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আমেঠিতে এক সাংবাদিককে ধমক এবং হুমকি দেওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শাস্তি এবং ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে মুম্বই প্রেস ক্লাব। সাংবাদিকদের প্রতি মন্ত্রীদের বারংবার ‘ঔদ্ধত্য’ প্রকাশ গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলে মনে করছে তারা।
মহিলা ও শিশু কল্যাণ এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ৯ জুন তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র আমেঠিতে ছিলেন। তখন সাংবাদিক ভিপিন যাদব তাঁকে কিছু কথা বলতে বলেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এটিকে ‘অপমান’ হিসেবে নিয়েছেন এবং ক্ষুব্ধ হন।
প্রেস ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভিডিও ক্লিপগুলিতে দেখা যাচ্ছে গাড়িতে বসে থাকা স্মৃতি ইরানি রাগান্বিত হয়ে ওই সাংবাদিকের দিকে আঙুল তুলে হুমকি দিয়ে বলছেন, তাঁর সংবাদপত্র দৈনিক ভাস্করের মালিকদের সাথে কথা বলে অভিযোগ জানাবেন।
মুম্বই প্রেস ক্লাব বলেছে যে এটি খুব ‘দুর্ভাগ্যজনক’ এবং ‘নিন্দনীয়’ ঘটনা। স্মৃতি ইরানি “শুধু যাদবকে অপমানিত করেননি বা তার নিয়োগকর্তারা যাতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তা নিশ্চিত করার হুমকি দেননি বরং আমেঠির ভোটারদেরও অপমান করছিলেন! এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া (EDI) এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রেস ক্লাবের বিবৃতিতে দৈনিক ভাস্করেরও সমালোচনা করা হয়েছে, কারণ, ইরানির হুমকির একদিন পরেই যাদব এবং অন্য একজন প্রতিবেদক রশিদ হুসেনকে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে’ পদদলিত করা একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেদের প্রতিবেদককে রক্ষা করার পরিবর্তে মন্ত্রীর হুমকির কাছে মাথা নত করল দৈনিক ভাস্কর।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্মৃতি ইরানি তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে সফরে গিয়ে, স্যালোন বিধানসভার কাছে কৃষ্ণনগর চৌরাহায় এসেছিলেন। তখন কয়েকজন সাংবাদিক (যারা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন) তাঁকে কিছু কথা বলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
ইরানি অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করে বলেন, তিনি ইতিমধ্যেই স্যালনে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তখন সাংবাদিক বিপিন যাদব তাঁকে আবার অনুরোধ করে বলেন- “আপনি স্যালনেও বলেছিলেন, এখন আপনি আমেঠিরই জগদীশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এসেছেন। এখানেও কিছু বলুন।” আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন স্মৃতি ইরানি।