মণিপুরে হিংসা: কেন্দ্রের তৈরি শান্তি কমিটি থেকে সরে এলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রতন থিয়াম
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রতন থিয়াম মণিপুরে হিংসা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি ৫১ সদস্যের শান্তি কমিটিতে থাকতে অস্বীকার করলেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে এই খবর জানা যাচ্ছে।
এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল আনুসুইয়া উইকেয় এবং মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।
‘নর্থইস্ট লাইভ’ নিউজ পোর্টালে রতন থিয়াম বলেন, এই কমিটি বর্তমান সময়ে কিছু করতে পারে তিনি বিশ্বাস করেন না।
থিয়ামকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “এখানে ক্রমাগত হিংসার ঘটনা ঘটছে, অথচ আমরা এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে এবিষয়ে একটি শব্দও শুনতে পাইনি।”
তিনি আরও বলেন, মণিপুরে এখন রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের থেকে রাজনৈতিক সদিচ্ছার বেশি প্রয়োজন।
তিনি ওই সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, “কেন্দ্র যদি এগিয়ে না আসে, তাহলে আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে থাকবে।”
মণিপুরের হিংসা রুখতে শান্তি কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই মতো ১০ জুন, শনিবার গঠন করা হয় এই কমিটি।
গত সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই ও সংখ্যালঘু কুকি-যোমি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা ঘোষণা করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গঠিত শান্তি কমিটির কোনও শান্তি আলোচনায় তারা আর অংশ নেবে না। এবার প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রতন থিয়ামও এই কমিটি থেকে সরে এলেন।
উল্লেখ্য, জাতিগত হিংসায় জ্বলছে উত্তর-পূর্বের মণিপুর। সেই রাজ্যের বাসিন্দা কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। ভাঙচুর করা হয়েছে ধর্মীয় স্থান, স্কুলবাড়ি, সরকারি অফিসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্ফু জারির পাশাপাশি নামানো হয় সেনাকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পূর্ব ইম্ফল এবং কাংপোকি জেলার সীমানায় অবস্থান করা খামেলোক এলাকার গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায় জঙ্গিরা। মহিলা-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মণিপুরের একমাত্র মহিলা মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বুধবার।