বড় পর্দায় মানুষ ও হাতির ‘আদর’-এর সম্পর্ক, মুক্তি কবে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘আদর’ একটি হাতির গল্প। অভিনেতা দেবদূত ঘোষ তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ‘আদর’ পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্রটি বিখ্যাত লেখক প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের “আদরিনী” অবলম্বনে নির্মিত। গোটা গল্পটি ত্রিপুরার খারকাই নামে একটি ছোট গ্রামকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে।
শ্রী জয়রাম মুখোপাধ্যায় নামে একজন গ্রামের আইনজীবীকে কেন্দ্র করে গল্পটি শুরু হয়। তিনি তার পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চিত সমস্ত অর্থ দিয়ে একটি হাতি কেনেন। অল্পবয়সী হাতিটি তার পরিবারের একটি সদস্য হয়ে ওঠে। জয়রাম তার সঙ্গে নিজের মেয়ের মতো আচরণ করতে শুরু করে। নাম রাখেন ‘আদর’।
গ্রামের উকিল জয়রাম অবসর নেওয়ার পর তাঁর একমাত্র নাতনির বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁর উপর বর্তায়। পারিবারিক চাপের কারণে, জয়রাম ‘আদর’ বিক্রি করতে বাধ্য হয়, যার ফলে তাদের উভয়ের জন্য একটি হৃদয়বিদারক পরিণতি হয়।
এই বিচ্ছেদ পিতা জয়রাম এবং পালিত কন্যা আদরের স্বাস্থ্য উভয়কেই প্রভাবিত করে, ফলে পরবর্তীকালে তাদের মৃত্যু হয়। গোটা গ্রামে নেমে আসে নীরবতা।
ছবিটি প্রযোজনা করেছে শ্রেয়শী এন্টারটেইনমেন্টস। রজতাভ দত্ত এই ছবির নায়ক এবং অন্যান্য কাস্টে রয়েছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, বাসবদত্ত চ্যাটার্জি, ফায়াজ খান, প্রদীপ চক্রবর্তী এবং অন্যান্যরা। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন পন্ডিত তন্ময় বোস, সম্পাদনা করেছেন অর্ঘ্যকমল মিত্র এবং চিত্রগ্রহণ করেছেন অসীম বোস।
পুরো গল্পটি একটি মানুষ এবং একটি প্রাণীর মধ্যে একটি অনন্য বন্ধন চিত্রিত করে, দুই ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে বিদ্যমান চিরন্তন সম্পর্কের উপর জোর দেয়। লেখক প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত ‘আদরিনী’শিরোনামের মূল গল্পের উপর ভিত্তি করে ‘আদর’ ছবি তৈরি। এ বছর (২০২৩) লেখকের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণ করেই ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। আগামী ২৩ শে জুন বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে দেবদূতের এই ছবিটি।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সিনেমায় বারবার উঠে এসেছে মানুষ ও হাতির সম্পর্কের কথা। এর আগে ১৯৯৬ সালে মুক্ত পেয়েছিল রাজা সেন পরিচালিত “দামু”। তারপর রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল “অ্যাডভেঞ্চারস অফ জোজো”। তাপস পাল ও শতাব্দী রায় অভিনীত সুপারহিট হাতির ছবি ছিল “অন্তরঙ্গ” , ১৯৭১ সালে মুক্তি পেয়েছিল রাজেশ খান্না, তনুজা অভিনীত ছবি “হাতি মেরে সাথী” । হাতি নিয়ে ছবিগুলির মধ্যে পরিচালক তপন সিনহার “সফেদ হাতি” সিনেমাটি ১৯৭৮ সালে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল।