রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে মেঘমাশ্লিষ্টসানুং’, আজও ১লা আষাঢ়ে অপরিহার্য কালিদাস

June 17, 2023 | 2 min read

আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে মেঘমাশ্লিষ্টসানুং’

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঙালিকে গ্রাম বাংলার বর্ষা চিনিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়, পথের পাঁচালির দৃশ্যে ধরেছিলেন বাংলার বৃষ্টিকে। সহজপাঠে রবি ঠাকুরও গেঁথে দিয়েছেন বর্ষার ছবি। কিন্তু বাঙালির কাছে বর্ষা আজন্ম রোমান্টিক এক ঋতু, হাজারও গানে, কবিতায় বর্ষাকে ছোঁয়ার চেষ্টা হলেও সেই কালিদাসের চরণ আজও বর্ষার আগমন ঘোষণা করে।

মেঘদূতমের দ্বিতীয় শ্লোকেই রয়েছে প্রখ্যাত পঙক্তিটি ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে মেঘমাশ্লিষ্টসানুং’। মহাকবি কালিদাস তাঁর মেঘদূতম কাব্যে আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে বিরহী যক্ষ মেঘকে দূত করে কৈলাশে পাঠিয়েছিলেন তাঁর প্রিয়ার কাছে। বিরহ-প্রেমের ঋতু বর্ষায়, সেই বার্তাই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। বর্ষা কৃষকের কাছে আবাদী ঋতু, মাটির উর্বরা শক্তির সঙ্গে সৃষ্টির মিল যে উপেক্ষা করা যায় না! নতুনের উদযাপন,

সবুজ হয়ে ওঠা প্রকৃতি তো বর্ষার মূর্ত প্রতীক। বর্ষায় মন ক্রমাগত বাইরের পথে বেরিয়ে পড়তে চায়, কালিদাস যেন সেই আকাঙ্ক্ষাকেই জাগিয়ে দেয়। আজ ২০২৩-এও বর্ষাকে আগমন জানাতে কালিদাসের বিকল্প নেই।

ছবি সৌজন্যে- সুদীপ পাত্র/ফেসবুক

কবিগুরুর ভাষায় বর্ষা ধরা দিচ্ছে যেন একই মন্তাজে, ‘তোমার মন্ত্রবলে পাষাণ গলে, ফসল ফলে/ মরু বহে আনে তোমার পায়ে ফুলের ডালা’ আবার তিনিই লিখছেন, ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে, আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে। এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি, পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি।’ বা ‘ঐ আসে ঐ ঘন গৌরবে নব যৌবন বরষা, শ্যাম গম্ভীর সরসা…।’

বর্ষাকে স্বাগত জানিয়ে নজরুল লিখেছিলেন, ‘রিম্ঝিম্ রিম্ঝিম্ ঘন দেয়া বরষে। / কাজরি নাচিয়া চল, পুর-নারী হরষে।’ কবি জীবনানন্দ দাশ আষাঢ়কে বলেছেন ‘ধ্যানমগ্ন বাউল-সুখের বাঁশি’। জল-যন্ত্রনা, কাদা, দু’কূল ছাপনো নদীর খেয়া পারাপার, রথের মেলার পাঁপড়, জিলিপি আর ইলিশ নিয়ে আষাঢ় আসে, আষাঢ় এমনভাবেই আসুক। মাটি নয়, মাটির সঙ্গে সঙ্গে মন ভিজুক। সার্থক হোক কালিদাসের পদ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#monsoon season, #monsoon, #West Bengal

আরো দেখুন