কীর্তনের হৃত জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারে তৈরি হচ্ছে গবেষণা কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণশালা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কীর্তনকে বাঁচাতে তৈরি হচ্ছে গবেষণা কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণশালা। বাংলায় চৈতন্যদেবের মাধ্যমে এই প্রাচীন সঙ্গীতের ধারা জনপ্রিয় হয়েছিল। এই গানে মিশে রয়েছে ভক্তি তথা প্রেমরসের আবেগ যা ভক্তকুলকে নাচিয়ে তুলতে পারে, আবার চোখে জলও আনতে পারে। হালে এর জনপ্রিয়তায় ভাটার টান পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই গবেষণা কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার।
রিসার্চ সেন্টারের ডিন সুমন রুদ্র জানিয়েছেন, সারা বছর ধরে তারা কীর্তন বিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করবেন, পাশাপাশি সঙ্গীতানুষ্ঠান ও কর্মশালার আয়োজনও করবেন তাঁরা। কীর্তনের ইতিহাস নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজ আরম্ভ হচ্ছে। দ্বাদশ শতকের বাংলায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের গান ও সাহিত্যের প্রমাণ পাওয়া যায়। চৈতন্যের ভক্তি আন্দোলনের সময় জয়দেব, বিদ্যাপতি ও আরও অনেক কবির প্রাচীন কীর্তন গানগুলি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
শ্রীচৈতন্যদেব বৈষ্ণব মতবাদ প্রচারের মাধ্যম হিসেবে সংকীর্তন শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। সেই সময় থেকে কীর্তন ছড়িয়ে পড়ে বাংলায়। ভারতের অন্যান্য অংশেও কীর্তনের প্রসার ঘটে। বাংলায় কীর্তনের উপস্থাপনা, গল্প বলার ঢঙ, ধর্মীয় আচার ইত্যাদির কারণে লোকশিল্পের রূপ নিয়েছে কীর্তন। কীর্তনের হারিয়ে যাওয়া জনপ্রিয়তাকে ফের উদ্ধার করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কীর্তন সম্পর্কিত সমস্ত বইপত্র, স্বরলিপি সংরক্ষণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।