জগন্নাথ নন! আগামীকাল রথে চাপবেন মা তারা, তারাপীঠে রথযাত্রার কাহিনী জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার শক্তি আরাধনার অন্যতম বিখ্যাত কেন্দ্র হল তারাপীঠ। মা তারা এখানে পূজিতা হন। তারাপীঠেও পালিত হয় রথ, তবে সেখানে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা চাপেন না। রথের দিনই মা তাঁরাকে রথে চড়িয়ে নগর পরিক্রমা করানো হয়। ভক্তের ঢল নামে সে রথযাত্রা দেখতে।
কথিত রয়েছে, তারাপীঠের বিখ্যাত সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ তারাপীঠের রথের প্রচলন করেছিলেন। সেইসময় একটি পিতলের রথ তৈরি হয়েছিল। প্রতি বছর এই পিতলের রথে চড়েই নগরভ্রমণে বের হন মা তারা। মায়ের বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয় মূল মন্দিরে। অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি সময় নিয়ে মা তারার আরতি করা হয়। তারপর মাকে পরানো হয় রাজবেশ। ফুল দিয়ে সাজানো হয়। তারাপীঠে, তারামায়ের বিগ্রহকে গর্ভগৃহের বাইরে আনা হয় শুধুমাত্র রথের দিনই। তারপর রথে বিগ্রহকে বসিয়ে প্রদক্ষিণ করা হয় তারাপীঠ। মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার থেকে শুরু হয়ে, দ্বারকা ব্রিজ সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড, তারাপীঠ থানা হয়ে পূর্বসাগর মোড় তারপর তিনমাথা মোড় হয়ে পুনরায় পূর্বসাগর মোড়ে এসে রথযাত্রার সমাপ্তি ঘটে।
রথের দিন মাকে জিলিপির ভোগ নিবেদন করা হয়। সেইসঙ্গে দেওয়া হয় পাঁচরকম মিষ্টি ও পাঁচরকম ফলের ভোগ। রথের ওপর প্রতিমাকে বসিয়ে করা হয় আরতি। পিতলের রথটিও সুন্দর করে সাজানো হয়। রথের উপর মাকে ঘিরে থাকেন সেবায়েতরা। তাঁদের কাছে ঝুড়ি ভর্তি বাতাসা আর প্যাঁড়া থাকে। দুইই মায়ের প্রসাদ। রথ থেকে ভক্তদের উদ্দেশে প্যাড়া, বাতাসা, মহাপ্রসাদ স্বরূপ বিতরণ করা হয়। হাজার হাজার পুর্ণার্থী রথের দড়িতে টান দেন। রথ চলাকালিন ভক্তদের উদ্দেশ্যে প্রসাদের লুঠ হয়। সকলেই প্রসাদ কুড়িয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।