ব্যাঙ্কে কোথা থেকে এল ৪ লক্ষ দু’হাজারের নোট? RTI-এর উত্তরে বিস্ফোরক তথ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী আমল সত্যিই ম্যাজিক দেখাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি থেকে উধাও প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। সবই নাকি নয়া ৫০০ টাকার নোটে। আরটিআইয়ে এই তথ্য মিলতেই উত্তাল হয়েছে দেশ, শনিবার দিনভর চলেছে নানান জল্পনা। এই খবরকে ভুয়ো দাগিয়ে দিয়ে বিবৃতি জারি করে বিতর্ক দমানোর চেষ্টা করেছে আরবিআই। কিন্তু চব্বিশ ঘন্টাও গেল না, ফের প্রকাশ্যে এল আরেক গরমিল। আরটিআইয়ের তথ্য বলছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘরে ৪ লক্ষের বেশি দু’হাজারের নোট জমা পড়েছে, যা টাঁকশালের হিসেবে ছাপানোই হয়নি। সংখ্যাটা চার লক্ষেরও বেশি!
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করেছিলেন মোদী। বদলে বাজারে আসে ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নতুন নোট। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে, কত ২ হাজারের নোট ছাপা হয়েছিল, আরটিআইয়ের মাধ্যমে তা জানতে চেয়েছিলেন মেদিনীপুরের বাসিন্দা মুম্বই নিবাসী মনোরঞ্জন রায়। বেঙ্গালুরুর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রণ প্রাইভেট লিমিটেড জানিয়েছে, ৩৫০ কোটি ৩৬ লক্ষ পিস দু’হাজার টাকার নোট ছেপেছে তারা। আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, ওই অর্থবর্ষে তারা ৩৫০ কোটি ৪০ লক্ষ পিস দু’হাজার টাকার নোট পেয়েছে। অর্থাৎ, অতিরিক্ত চার লক্ষ দু’হাজারের নোট এসেছে আরবিআইয়ের ভাঁড়ারে, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৮০ কোটি। জানা গিয়েছে, ওই অর্থবর্ষে আরবিআই ৩৫০ কোটি দু’হাজারের নোট ছাপার অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু টাঁকশাল ছেপেছে বরাতের চেয়ে বেশি দু’হাজারের নোট। আরবিআইয়ের ঘরে জমা পড়েছে আরও বেশি নোট।
পরের দুই অর্থবর্ষে টাঁকশাল এবং আরবিআইয়ের রিপোর্টে কোনও গরমিল নেই। ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে যথাক্রমে ১৫ কোটি ১০ লক্ষ ও ৪ কোটি ৭০ লক্ষ দু’হাজারের নোট ছাপার বরাত দিয়েছিল আরবিআই। ছাপাও হয়েছে তাই। শুধুমাত্র নোট বাতিলের বছরের হিসেব মিলছে না, প্রশ্ন উঠছে এখানে। হিসেবের ফারাক নিয়ে কিছুই জানায়নি আরবিআই, এমনটাই দাবি মনোরঞ্জনবাবুর। প্রধানমন্ত্রীসহ সিবিআইকে এই বিষয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি।