রথযাত্রার দিনই শহরজুড়ে মহাধুমধাম করে শুরু হল দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাড়ম্বরে পালিত হল রথযাত্রা। গতকাল কলকাতাজুড়ে প্রায় একশোর অধিক রথ নেমেছিল। এছাড়াও বনেদি বাড়ির রথ, কচিকাঁচাদের রথ তো আছেই। এদিন থেকেই শুরু হল দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন।
শহরের তিন বিখ্যাত দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজো অনুষ্ঠান ছিল গতকাল। শ্রীভূমির এবারের থিম ‘ডিজনি’। হিন্দুস্তান ক্লাবের পুজো মহিলা পরিচালিত, তাদের থিম এবার ‘দরিয়া পার’। চেতলা অগ্রণীর খুঁটি পুজোও হয়েছে গতকাল। তবে থিম নিয়ে এখনও পর্যন্ত সাসপেন্স বজায় রেখেছে চেতলার বিখ্যাত পুজোটি। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে দুর্গাপুজোর থিম প্রকাশ করেছে মহম্মদ আলি পার্ক। প্রথা মেনে কুমোরটুলিতে বেশকিছু বাড়ির পুজোর দুর্গা প্রতিমার বায়না হয়েছে রথযাত্রায়। অনেকে বাড়িই কাঠামো পুজো সেরে, তা কুমোরটুলিতে দিয়ে গিয়েছেন। এবার মৃন্ময়ী মা সেজে উঠবেন।ফাটাকেষ্টর পুজোর কালীপ্রতিমার কাঠামো পুজোও কুমোরটুলিতে গতকাল সম্পন্ন হয়েছে।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় এবারই প্রথমবারের জন্য রথযাত্রা আয়োজিত হল। চিড়িয়াখানার কর্তা তাপস দাসসহ অন্যান্য কর্মী-আধিকারিকরা রথের রশিতে টান দেন। উত্তর কলকাতার ক্যানাল ইস্ট রোডের জগন্নাথ মন্দিরের পুজো হল মহাসমারোহে। পুরী থেকে পান্ডারা এসে ভাণ্ডারা করে ভোগ বিতরণ করেন এখানে। পুরীর ভোগের মতো সবুজ মুগ ডাল এবং গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে তৈরি হয়েছে ভুনা খিচুড়ি, ঘি ও নারকেল দিয়ে তৈরি ডালনা, পটল এবং রায়তা। খুঁটিপুজো হল উল্টোডাঙা সংগ্রামী। ক্লাবটি শিশুদের রথ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। যোধপুর পার্কে ৩০৩ জন শিশু-কিশোরকে রথ ও বিগ্রহ বিতরণ করা হয়। সব মিলিয়ে রথযাত্রায় নানান অনুষ্ঠানে উৎসবমুখর ছিল মহানগর।