দেশ বিভাগে ফিরে যান

বায়োমেট্রিকের গেরোয় আটকে পেনশন, মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় সমস্যায় প্রবীণরা?

June 22, 2023 | 2 min read

বায়োমেট্রিকের গেরোয় আটকে পেনশন, ছবি সৌজন্যে-starofmysore

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পেনশন পাচ্ছেন না বাংলার আঠাশ হাজার প্রবীণ, গোটা দেশে সংখ্যাটা আড়াই লক্ষেরও বেশি। কারণ, বায়োমেট্রিক আর আধারের গেরো। সমস্যাটা ঠিক কী? বেঁচে থাকার প্রমাণ হিসেবে, প্রতি বছর নভেম্বরে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে হয় পেনশনভোগীদের। পিএফের আওতায় পেনশনভোগীরাও এই নিয়মের মধ্যে পড়েন। আধারের মাধ্যমে জমা করা হয় লাইফ সার্টিফিকেট। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন তরফে খবর, বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত সমস্যার কারণে, বহু পেনশনভোগীর ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট গৃহীত হয়নি। তাঁদের পেনশন আটকে গিয়েছে। গোটা দেশে প্রায় ২ লক্ষ ৫৭ হাজার প্রবীণ ব্যক্তি এই কারণে পেনশন পাচ্ছেন না। পেনশন বন্ধ থাকলে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসে সশরীরে গিয়ে অফলাইনে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার আবেদন করছেন পিএফ কর্তারা। তবেই ফের পেনশন চালু হবে। প্রবীণদের সুবিধার্থে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা পুরোপুরি ফেল করেছে।

বায়োমেট্রিক অর্থাৎ আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বেঁচে থাকার প্রমাণ দেওয়ার বিষয়ে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রবীণদের আঙুলের ছাপ আধার কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা তাঁদের আঙুলের ছাপের সঙ্গে অনেক সময়তেই মেলে না। আঙুলের ছাপ না মিললে বা সার্টিফিকেট রিজেক্ট হলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর এসএমএসের মাধ্যমে তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানানো হয়। অনেকক্ষেত্রেই এসএমএস দেখেন না পেনশনভোগীরা। তখন পেনশন বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলায় জলপাইগুড়িতে সর্বাধিক প্রবীণের পেনশন আটকে রয়েছে। সংখ্যাটা প্রায় পাঁচ হাজার। সবচেয়ে কম পার্ক স্ট্রিটে, সেখানে সংখ্যাটা হাজারের কিছু কম। কলকাতা পিএফ অফিসের আওতায় পেনশনভোগীর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার। তার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ১৩ হাজার জন লাইফ সার্টিফিকেট জমা করেছে। বাকিরা সবাই মারা গিয়েছেন, এমন নয়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই গাফিলতি বা ত্রুটি ধরা পড়েছে। ফ্যামিলি পেনশনের ক্ষেত্রেও বহু পেনশনভোগীর লাইফ সার্টিফিকেট জমা হয়নি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Biometric, #pension holder, #modi govt, #pensions, #Biometric Verification

আরো দেখুন