রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বৃষ্টি ঘাটতির জের, অগ্নিমূল্য সবজি কিনতে মধ্যবিত্তর পকেটে টান

June 25, 2023 | < 1 min read

ছবি সৌজন্যে Fahim Khan

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আষাঢ়ের মাঝামাঝি কিন্তু এখনও বর্ষার বৃষ্টির দেখা নেই দক্ষিণবঙ্গে। পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে বিপন্ন কৃষিকাজ। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। যার জেরে বাড়ছে সবজি বাজার দর। মরশুমি সবজির দাম প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। ঝিঙে, ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দামে। এই সময়টা টমেটো আসে ভিন রাজ্য থেকে। তার দামও চড়া। খুচরো বাজারে টমেটো ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। বেগুনের দাম আশি টাকা ছাড়িয়েছে। ৪০-৫০ টাকার নীচে মিলছে না পটল। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বৃষ্টি কম হওয়াকে দায়ী করেছেন সবজি বিক্রেতারা। নাগাড়ে সবজির জোগান কমেছে। পাইকারি হাটগুলিতেও আনাজপাতির দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগেও গ্রামের হাটগুলিতে ১০ টাকা কেজি দরে পটল, ঢেঁড়শ মিলছিল। সেসব সবজিই এখন হাটে ২৫ থেকে ৩৫ টাকার বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে, কুমড়োর মতো সবজির দাম তুলনামূলকভাবে কম। আলু ও পিঁয়াজের দাম তাও নাগালের মধ্যে রয়েছে।

কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়; দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, নদীয়ার মতো জেলা থেকে সবজি আসে। কৃষিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, এসব জেলায় বৃষ্টির যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জুনে স্বাভাবিকের থেকে ৮৪ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। হুগলি, নদীয়া জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৬০ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বৃষ্টি ঘাটতি ৪০ শতাংশ। বৃষ্টির অভাবে, সেচের জল দিয়ে চাষ করতে হচ্ছে। এতেই খরচ বাড়ছে। জুন মাস থেকে আমন ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু এবার গোটা দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কম হওয়ায় ব্যাপকভাবে বীজতলা তৈরি শুরু হয়নি। ধান চাষ মার খাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#vegetables, #price hike

আরো দেখুন