পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়ে মানুষের আস্থা ফেরাতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমছে। এবার দেশের বাজারেও কমতে পারে পেট্রোপণ্যের দাম। এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক থেকে।
সদ্যই কর্ণাটক নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। বছর শেষে আরও ৪ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তাতেও ধাক্কা খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। লোকসভার আগে তাই পেট্রোপণ্যে নজর দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
লিটার পিছু অন্তত ৪ থেকে ৫ টাকা দাম কমতে পারে পেট্রোল ও ডিজেলের। আগস্ট থেকেই ওই দাম কমাতে পারে তেল বিপণন সংস্থাগুলি। একটি প্রতিষ্ঠিত সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক তেল বিপণন সংস্থাগুলিকে বলতে পারে, তাদের ব্যালান্স শিটের অবস্থা এখন বেশ ভালো। তাই আগস্ট থেকেই জ্বালানির দাম ৪-৫ টাকা পর্যন্ত কমানো যেতে পারে। সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে বিজেপির ফল মোটেও ভালো হয়নি। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি এমনিতেই বিভিন্ন রাজ্যে একটা ইস্যু। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পরোক্ষ প্রভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। এই অবস্থায় জ্বালানির দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে খানিকটা সুরাহা দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির বাধ্যবাধকতাতেই ইন্ডিয়ান অয়েল বা হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো কোম্পানিগুলিকে দাম কমানোর পথে হাঁটতে বাধ্য করবে।
বস্তুত আন্তর্জাতিক বাজারে গত প্রায় বছর খানেক ধরে ধীরে ধীরে কমছে অশোধিত তেলের দাম। এক বছর আগে যে অশোধিত তেলের দর ছিল ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলার, এখন তা ৭০ ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। মে মাসে ভারতে আসা অশোধিত তেলের ৪৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে সস্তায় আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু দেশের বাজারে তেলের দাম কমেনি। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী মনে করছেন, এবার অশোধিত তেলের দাম স্থিতিশীল জায়গায় এসে পৌঁছেছে। এই স্থিতাবস্থা বজায় থাকলে আগামী দিনে দাম কমানো সম্ভব হবে। সঙ্গে সঙ্গে এর সুফলও লোকসভা নির্বাচনে মিলবে!