WorldCup-এ সেমিফাইনালসহ পাঁচ ম্যাচ ইডেনে, কোন পথে জয় আনলেন স্নেহাশিস?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শোনা যায়, ১৯৯০ সালের রঞ্জি ফাইনালে ভাই সৌরভের জন্যে নিজের জায়গা ছেড়ে দেন চূড়ান্ত ফর্মে থাকা স্নেহাশিস। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়েছে, সৌরভ এখন বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। সিএবি সামলাচ্ছেন দাদা স্নেহাশিস। আর এবার ভাইকে টপকে গেলেন দাদা, বিশ্বকাপের ম্যাচ নিয়ে এলেন ইডেনে। আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপে (ICC Men’s WorldCup) কলকাতা পেল সেমি-ফাইনালসহ পাঁচটি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব। কয়েক মাস আগেই সিএবির সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বসেছিলেন সৌরভের জেষ্ঠ, কিন্তু গতকাল যেন স্নেহাশিস গাঙ্গুলির রাজ্যাভিষেক সম্পূর্ণ হল। ইডেনকে তিনি জিতিয়ে দিলেন। ক্রিকেটের নন্দনকাননে জমবে বিশ্বকাপের আসর।
ক্রিকেট থেকে ভারতের রাজনীতি, এখন সব কিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় গুজরাত থেকে; ফলে বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ আগেই ক্ষমতাবলে নিশ্চিত করেছিল আমেদাবাদ। দুই সেমিফাইনালের মধ্যে একটির দায়িত্ব মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম পাবে, তাও নিশ্চিত ছিল। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও কলকাতার মধ্যে লড়াই ছিল দ্বিতীয় সেমিফাইনাল নিয়ে, কিন্তু স্লগ ওভারে কলকাতাকে জিতিয়ে দিলেন স্নেহাশিস।
শ্রীনিবাসনের গড় চেন্নাই, অন্যদিকে বিসিসিআই সভাপতি রজার বিন্নির হোম গ্রাউন্ড বেঙ্গালুরু। ফলে দক্ষিণ ভারতেই সেমি-ফাইনাল হওয়ার কথা। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, অভিষেক ডালমিয়া শুরু করেন লড়াই, বিসিসিআই সচিবের সঙ্গে সুসম্পর্কের রসায়নকে কাজে লাগান অভিষেক। বোর্ডের কাছে ইডেনের ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন স্নেহাশিস। ইডেনের আধুনিকীকরণের ছবিও দেখানো হয়, তাতেই মেগা ম্যাচ চলে আসে ইডেনে।
সরকারিভাবে আইসিসি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করেছে মঙ্গলবার। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা, সেমি-ফাইনাল ছাড়াও আরও চারটি ম্যাচ যে ইডেন পাচ্ছে, তা সোমবার রাতেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা জুড়ে। আয়োজনের প্রস্তুতিতে কোনও ত্রুটি রাখতে চায় না সিএবি। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।