মণিপুর এবং পঞ্জাবে ইন্টারনেট বন্ধের জন্য ভারতকে বড় মূল্য চোকাতে হচ্ছে!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশের কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে সরকার দ্রুত সেই এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। অন্য বছরগুলির তুলনায় বর্তমান বছরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার এই প্রবণতা ১৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। যা বিশ্বে সব থেকে বেশি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট সোসাইটি একটি রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে। ইন্টারনেট সোসাইটির পালস প্ল্যাটফর্মে হোস্ট করা টুলটি বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব পরিমাপ করে।
মণিপুর এবং পঞ্জাব সাম্প্রতিক ইন্টারনেট বন্ধের জন্য ভারতীয় অর্থনীতিকে বড় মূল্য চোকাতে হয়েছে। যার পরিমাণ আনুমানিক ১.৯ বিলিয়ন টাকা। প্রায় ১১৮ মিলিয়ন ডলারের বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় ২১,২৬৮ জন চাকরি হারিয়েছেন। একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ‘শাটডাউন’-এর গ্রাফ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। বিশ্বজুড়ে সরকার নাগরিক অসন্তোষ থামাতে বা স্কুল পরীক্ষা এবং নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট পরিষেবাগুলিকে সীমাবদ্ধ করেছিল বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল।
ইন্টারনেট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং সিইও অ্যান্ড্রু সুলিভান বলেছেন, “ইন্টারনেট বন্ধের প্রবণতা বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার বা প্রশাসন বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটে অ্যাক্সেসে বাধা প্রদান করায় নানা ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। সম্ভবত তারা এটা বুঝতে পারছেন না বা বিষয়টিকে উপেক্ষা করে চলেছে।’’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার প্রায়শই ভুলভাবে বিশ্বাস করে যে ইন্টারনেট বন্ধ করার ফলে অস্থিরতা প্রশমিত হবে, ভুয়ো তথ্যের ছাড়ানো বন্ধ হবে। কিন্তু বর্তমান যুগে ইন্টারনেট বন্ধ হলে অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে তা বিঘ্নিত করে। ই-কমার্স থেকে সময়ভিত্তির বিভিন্ন সংবেদনশীল লেনদেনে লোকসান ঘটায়, বেকারত্ব বাড়ায়, ব্যবসায়ী-গ্রাহকদের যোগাযোগে বাধা দেয়। যা কোম্পানিগুলির জন্য আর্থিক ও সুনামগত ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধর মতো ঘটনা একটি দেশের আর্থিক বৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলে। কারণ গবেষণা দেখা গেছে এই ধরনের ঘটনা দেশের জিডিপিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে।