নামমাত্র সুদ বাড়িয়ে মধ্যবিত্তের মন জয় করার কৌশল কেন্দ্রের!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সামনেই একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট, তার পরে আগামী বছরেই লোকসভা নির্বাচন। বর্তমান পরিস্থিতিতে একুটু কোণঠাসা অবস্থায় পরে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। যা ভোটবাক্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা।
এমন পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের মন জয় করতে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। মেয়াদি আমানত বা ফিক্সড ডিপোজিট এবং রেকারিং ডিপোজিটে সামান্য সুদ বাড়িয়ে মানুষের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছে তারা। তবে বাদবাকি সবক’টি সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ফলে এই সিদ্ধান্তে আদতে মানুষের কতটা সুরাহা হবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। ঘোষণা অনুযায়ী, এক বছরের মেয়াদি আমানতে সুদের হার বার্ষিক ৬.৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৯ শতাংশ করা হয়েছে। দু’বছরের মেয়াদি আমানতে সুদের হার ৬.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ। এছাড়া, পাঁচ বছরের রেকারিং ডিপোজিটে (আরডি) সুদের হার ৬.২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করা হয়েছে। আজ ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে নয়া এই সুদের হার। এই তিনটি সঞ্চয় প্রকল্পই ডাকঘরে করা যায়, ব্যাঙ্কে নয়। তবে অনেকে আশা করলেও পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফের মতো জনপ্রিয় স্কিমে সুদের হার বাড়েনি।
প্রসঙ্গত, প্রতি তিন মাস অন্তর স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনাকালে দীর্ঘ সময় তা অপরিবর্তিত রেখেছিল তারা। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালে সামান্য সুদ বেড়েছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে অনেকটাই সুদ বৃদ্ধি হয়। এরপর এপ্রিলে আরও এক দফা সুদ বৃদ্ধির পথে হাঁটে কেন্দ্র। সেই সময়ও চরম মূল্যবৃদ্ধিতে বিধ্বস্ত ছিল গোটা দেশ।