চলতি বছরে সংসদের বাদল অধিবেশন ২০ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী শনিবার বাদল অধিবেশনের দিনক্ষণ জানালেন। ২০২৩ সংসদের বাদল অধিবেশেন শুরু হত চলেছে ২০ জুলাই থেকে। আর তা শেষ হবে ১১ অগস্ট। উল্লেখ্য, এই অধিবেশন বসবে নয়া সংসদভবনে। সেই কারণে এই বাদল অধিবেশন ঐতিহাসিক হয়ে থাকতে চলেছে।
বাদল অধিবেশন রাজনৈতিকভাবেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দ্বিতীয় মোদী সরকার এর পর আর মাত্র একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন পাবে। সেটি হল শীতকালীন অধিবেশন। তাই সরকার যদি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা অন্য কোনও বিতর্কিত বিল পেশ করতে চায়, সেটার জন্য এটাই সেরা সময়। সংসদের এই অধিবেশনেই আবার দিল্লির বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স পেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা নিয়েও বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা। তবে মূল ফোকাস রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আইনেই।
বিরোধী শক্তি এককাট্টা হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে এগোচ্ছে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস সমেত বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলির স্টান্স সংসদে রাজনৈতিক মহলের নজরে থাকবে। এছাড়াও সামনেই রয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যের হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোট। তার আগে বিজেপি ও কংগ্রেসের ‘কাঁটে কি টক্কর’ সংসদে দেখা যাবে কি না সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
সংসদের এই বাদল অধিবেশনে একাধিক বিষয়ে বিরোধীরা সরব হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তার অন্যতম দিল্লিতে ‘আপ’ সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য কেন্দ্রের জারি করা অর্ডিন্যান্স। দিল্লি রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক স্তরে আধিকারিকদের দায়িত্ব এবং রদবদলের অধিকার এই অর্ডিন্যান্স জারি করে হাতে তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। তার আগে কেন্দ্র নিযুক্ত উপরাজ্যপালের একই নির্দেশিকা খারিজ হয়ে গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই রায়কে বাতিল করতেই অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী অর্ডিন্যান্সের বদলে একই বয়ানে আইনের জন্য বিল পেশ করতে হবে সংসদে। লোকসভায় গরিষ্ঠতা থাকলেও রাজ্যসভায় বিজেপি জোটের গরিষ্ঠতা নেই।
মণিপুর নিয়েও সরব হবেন বিরোধীরা। রাজ্যের বিজেপি সরকারের মু্খ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের অপসারণের দাবি উঠেছে বিজেপি’র মধ্যে থেকেও। এর মধ্যে সেনার তরফে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সক্রিয় মহিলাদের আচরণে ক্ষোভ জানিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেনার অভিযোগ, সেনাহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে বা তল্লাশিতে বাধা দিচ্ছেন মহিলাদের। মণিপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার ষাট দিন পরও প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন, সে প্রশ্ন রয়েছে সব স্তরে।