দেশ বিভাগে ফিরে যান

আন্তর্জাতিক বাজারে দর কমলেও, রান্না গ্যাসে দাম কমালো না মোদী সরকার

July 3, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিরোধীদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের পকেট নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবেন না মোদী সরকার। কেবল ভাঁড়ার ভর্তি করাই লক্ষ্য বিজেপি সরকারের। একই জিনিস চলছে রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক বাজারে রান্নার গ্যাসের কাঁচামালের প্রোপেন ও বিউটেন দাম কমলেও সাধারণ মানুষ তার কোনও সুবিধা পাচ্ছে না। দাম কমা দূরঅস্ত, রাতারাতি প্রোপেন-বিউটেনের দামে আরও ১৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে মোদী সরকার। কলকাতায় সিলিন্ডার ১ হাজার ১২৯ টাকাতেই কিনতে হবে।

মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রকের রাজস্ব বিভাগ ১ জুলাই একটি গেজেট নোটিফেকেশন জারি করেছে। ওই দিন থেকেই লিক্যুইফায়েড প্রোপেন এবং লিক্যুইফায়েড বিউটেনের উপর আমদানি শুল্ক কার্যকর হয়েছে। পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের আওতাধীন পেট্রলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস সেল বলছে, প্রোপেন ও বিউটেনের ক্ষেত্রে বেসিক আমদানি শুল্ক ছিল শূন্য। এখন তা ১৫ শতাংশ। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দর কমলেও, এদেশে দর কমানোর কোনও পথ রাখলো না মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই বসেছে অতিরিক্ত শুল্ক।

রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি কার্যত উবে গিয়েছে মোদী জমানায়। মোদী সরকারের যুক্তি ছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে রান্নার গ্যাসের কাঁচামালের দাম কমলে আম জনতা সুফল পাবে কিন্তু বাস্তবে কাঁচামালের দাম কমতেই চাপানো হল শুল্ক। তেল সংস্থা সৌদি অ্যারামকো, প্রোপেন ও বিউটেনের যে দর ঘোষণা করে, তার ভিত্তিতেই ভারতে গ্যাসের দাম নির্ধারিত হয়। প্রতি মাসে কন্ট্রাক্ট প্রাইস ঘোষণা করে অ্যারামকো। মাসের শুরুতে অ্যারামকোর ধার্য করা দরের প্রভাব, পরের মাসে রান্নার গ্যাসের দামে পড়ে। জুন মাসে, সৌদিতে যে দর ঘোষিত হয়েছে, জুলাইয়ে সেই অনুযায়ী এলপিজি সিলিন্ডারের দর ধার্য হওয়ার কথা। জুন মাসে, টন প্রতি প্রোপেনের দর ১০৫ মার্কিন ডলার কমেছে। ১১৫ ডলার কমেছে বিউটেনের দর।

কিন্তু মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে দর কমার সুবিধা পৌঁছলো না ভারতীয়দের ঘরে। সিলিন্ডার কিনতে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। আম জনতার সুবিধা-অসুবিধা দেখার সময় নেই বিজেপি সরকারের। লক্ষ্য কেবল কোষাগার ভরায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#price hike, #cooking gas, #Modi Government

আরো দেখুন