অনলাইন কেনাকাটায় লোক ঠকানোর কারবার- সতর্ক হতে কী করবেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অনলাইন কেনাকাটার আড়ালে লোক ঠকানোর কারবার চালাচ্ছেন অনেকেই। ই-কমার্স সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা লুটে চলেছে। খোদ মোদী সরকারের তথ্য একথা বলছে। কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক পদক্ষেপ করতে চলেছে, পাশাপাশি গ্রহকদেরও সচেতন হাওয়ার জন্য আবেদন করা হচ্ছে। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, গুগল, ইবে, ওএলএক্স, আলিবাবা, স্ন্যাপডিল, মিন্ত্রার মতো ভারতে ব্যবসা করা ই-কমার্স কোম্পানিগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জেল ও আর্থিক জরিমানার মতো কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ আসছে, কেনার সময় একরকম দাম দেখানো হচ্ছে। কিন্তু মাসের শেষে বিল আসার সময় দেখা যাচ্ছে, টাকার অঙ্ক বেড়ে গিয়েছে। কোনও কিছু কিনলে, সঙ্গে বাড়তি আরও ছোটখাটো জিনিস কেনার জন্য দেওয়া হচ্ছে চাপ। এখনই কিনুন, ফুরিয়ে যাবে, এমন জাতীয় মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। বিমান যাত্রার টিকিট কাটলে, গ্রাহককে না জানিয়ে অনেক্ষেত্রেই খাবারের চার্জ নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কোনও কিছু সাবস্ক্রাইব একবার করলে, তা বন্ধ করতে চাইলেও হচ্ছে না। সাবস্ক্রিপশন না নিলেও মেসেজ আসছেই। ই-কমার্স ব্যাপারটা এখন প্রতারণার ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই ফাঁদকেই বলা হচ্ছে ‘ডার্ক প্যাটার্ন।’ প্রায় সব ই-কমার্স গ্রাহকই এই ফাঁদে পা দিচ্ছেন। না চাইলেও জড়িয়ে পড়ছেন গ্রাহকরা।
ভারতে ক্রমশ বাড়ছে অনলাইন কেনাকাটা। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৪ সালে খুচরো কেনাকাটায় প্রায় ১০.৭ শতাংশে অনলাইন ভাগ বসাবে। ২০২০ সালে দেশে অনলাইন লেনদেনে কনজিউমার ডিজিটাল ইকনমির অঙ্ক ছিল ৫৩৭.৫ বিলিয়ন ডলারের। ২০৩০ সালের মধ্যে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। সেখানে গ্রাহকদের ঠকিয়ে টাকা লুটছে ই-কমার্স সংস্থাগুলি। অনলাইন কেনাকাটার সময় গ্রাহককে অত্যন্ত সতর্ক থাকার জন্য আবেদন করা হচ্ছে। বাড়তি বিল এসেছে দেখলেই ন্যাশনাল কনজিউমার হেলপ লাইনে (১৯১৫) ফোন বা হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে (৮৮০০০০১৯১৫) অভিযোগ জানাতে বলা হচ্ছে।