আদিতে আস্থা নয়! চব্বিশে পদ্মের ভরসা দলবদলু নেতারা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা ভোটের বৈতরণী পেরোতে বিজেপির ভরসা দলবদলু নেতারা? পদ্মে আদি নেতার খরা চলছে? গেরুয়া শিবিরের সাম্প্রতিক কাজকর্ম এমনই জানান দিচ্ছে। লোকসভাকে পাখির চোখ করে নানান রাজ্যে সাংগঠনিক বদল করছে বিজেপি। মঙ্গলবার চার রাজ্যে সভাপতি বদল করেছে পদ্ম শিবির। এর মধ্যে তিন রাজ্যেই দলবদলুদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতেই জোরালো হচ্ছে প্রশ্ন, তবে কি নিজের দলের লোকদের প্রতি বিশ্বাস নেই বিজেপির?
পঞ্জাবে বিজেপি সভাপতি হয়েছেন প্রয়াত কংগ্রেসের নেতা বলরাম জাখরের পুত্র সুনীল জাখর। সুনীলও একদা সে রাজ্যের কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ছিলেন। কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন। অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপির সভানেত্রী হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী তথা মনমোহন মন্ত্রিসভার সদস্যা ডি পুরন্দেশ্বরী। অন্ধ্র ভাগের প্রতিবাদে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন ডি পুরন্দেশ্বরী।
ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বাবুলাল মারান্ডি। কোনও এককালে তিনিও বিজেপি করেছেন। পরে আলাদা পার্টি গড়ে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়েছেন। ফের দল বদলে বিজেপিতেই ফিরে, এবার রাজ্য সভাপতি। একমাত্র তেলেঙ্গানার নতুন সভাপতি জি কিষান রেড্ডি, আদি বিজেপি নেতা। আদপে বিজেপি এমনটাই করে, বাংলায় এত নেতা থাকতেও দলবদলুকে বিরোধী দলনেতা বানিয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস থেকে আসা হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। বস্তুত, এসব উদাহরণে স্পষ্ট হয় নিজের দলের নেতাদের বদলে দলবদলুদের অগ্রাধিকার দেয় বিজেপি।