বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, প্রতীচির জমি বিতর্কে মত অমর্ত্য সেনের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রতীচির জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা রাজ্য। মাত্র ১৩ ডেসিমাল জমি নিয়ে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের সঙ্গে বিশ্বভারতীর বিবাদ এখনও মেটেনি। জমি বিতর্ক নিয়ে এবার খুললেন অমর্ত্য সেন। নাম উল্লেখ না করে উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে প্রবীণ অর্থনীতিবিদ জানালেন, তাঁকে অপমান করা সহজ নয়।
৫ জুলাই শান্তিনিকেতনের প্রতীচিতে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায়, ঐতিহাসিক এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। বিগত মাসেই শান্তিনিকেতনে ফিরেছেন অমর্ত্য। বিশ্বভারতীর শিক্ষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য এবং কয়েকজন পড়ুয়া গতকাল নোবেলেজয়ীর সঙ্গে দেখা করেন এবং জমি বিতর্কে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেন। প্রবীণ অর্থনীতিবিদ তাঁদের ধন্যবাদ জানান।
নোবেলজয়ী জানিয়েছেন, তিনি প্রতীচিতে ৮০ বছর যাবৎ থাকছেন। উপাচার্য তাঁকে বলেন, এই বাড়ি নোবেলজয়ীর নয়। তারপরে উপাচার্য বলেন, ওই বাড়ির কিছু অংশ উপাচার্যের হতে পারে, বাকি নয়। এটা একটা বড় শিক্ষা। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, সমস্ত পৃথিবী সকলের। এটা ভুল হতে পারে। কিন্তু, এর মধ্যে একটা সত্যতা ঠিকই আছে। সমস্ত পৃথিবীর সঙ্গে সকলের যে সর্বাঙ্গীণ যোগ, এর মধ্যেও একটা বড় সত্য আছে।
বিশ্বভারতীর দাবি, ১.৩৮ একর নয়, অমর্ত্যের প্রয়াত বাবা আশুতোষ সেনকে নাকি ১.২৫ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। বাকি ১৩ ডেসিমাল জমি অমর্ত্য দখল করে আছেন বলেও দাবি করছে বিশ্বভারতী। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ১.৩৮ একর জমি অমর্ত্যর নামেই মিউটেশন করা রয়েছে।
চলতি বছর ১৯ এপ্রিল, ১৩ ডেসিমাল জমি ১৫ দিনের মধ্যে খালি করার নোটিশ প্রতীচির দরজায় ঝুলিয়ে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে বীরভূম জেলা আদালতে মামলা হয়েছে। নানা মহল প্রতিবাদে সরব হয়েছে। একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচিও চলেছে গোটা রাজ্যে।