মুখ্যমন্ত্রিত্বের আরও এক দাবিদার! মুম্বইয়ের অপারেশন লোটাস এখন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মহারাষ্ট্রের রাজনীতির অস্থিরতা থামার নাম নিচ্ছে না। শরদ পাওয়ারের দল ভেঙে মহানিশ্চিন্ত হয়েছিল বিজেপি। ভাইপো অজিতকে নিয়ে আসা মাস্টারস্ট্রোক বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। একদিকে, শিন্দের কাছে মাথা নোয়ানো থেকে রেহাই আর অন্যদিকে, বিরোধী জোটকে ধাক্কা দেওয়া; কিন্তু জোড়া সাফল্যের তাল কাটল বুধবার, ৫ জুলাই। এনসিপির বিদ্রোহীদের নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করে অজিত বলে বসলেন, তিনিও মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। অজিতের এহেন আবদার শুনে গেরুয়া ঘরে আরম্ভ হয়েছে বিদ্রোহ।
সরকার ভাঙা আর গড়ার গেরোয় এবং শিন্দে শিবিরকে তুষ্ট করতে বিজেপি বিধায়কদের আর মন্ত্রিসভায় আসা হচ্ছে না। ১০৬ জন গেরুয়া বিধায়কের সিংহভাগেরই মন্ত্রীর গদি জোটেনি। কিন্তু এককালের রাজনৈতিক শত্রুরা জার্সি বদলে দিব্য কুর্সিতে গিয়ে বসছেন। এ জিনিস আর বিজেপি বিধায়কদের হজম হচ্ছে না। ক্ষোভের আগুন অন্দরে। গত বর্ষায় ঠিক একই ধাঁচে অপারেশন লোটাস চালিয়ে শিবসেনায় ভাঙন ধরিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এখন সেই একনাথ শিন্দে ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা যেকোনও সময় বিদ্রোহ করতে পারেন। অজিত পাওয়ারকে জোটে আনায় শিন্দেরা জোট ভাঙলে, মুম্বইয়ে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন জোট সরকারের বেলাইন হওয়ার উদ্বেগ থেকেই যাবে। একনাথের আগামী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে গোটা বাণিজ্যনগরী।
শিন্দেপন্থী শিবসেনার ক্ষোভ, অজিত পাওয়ারকে রাতারাতি জোট সরকারে নিয়ে আসা এবং মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার বিষয় আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। বিজেপি বিধায়করা এক বছর ধরে মন্ত্রী হওয়ার আশায় বসে আছেন। অন্যদিকে, হঠাৎ করে শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত এসে অনায়াসে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন। অন্যরাও মন্ত্রী পদ পেয়ে গেলেন। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা এখন বিজেপির কাছে গুরুত্বহীন।
গতকাল নাগপুরে রাষ্ট্রপতির দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে এক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার কথা ছিল। সেই অনুষ্ঠান বয়কট করে দলের বিধায়কদের বৈঠকে বসেন একনাথ। বিধায়ক সঞ্জয় শিরসাত বলেন, তারা এতদিন ধরে যে এনসিপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সেই এনসিপিকেই সরকারে নিয়ে এসেছে বিজেপি। এবার তাদের নেতা যা ঠিক মনে হয় করবেন। হুঁশিয়ারি সুরেই কথাগুলো বলা হয়েছে। আবার উদ্ধবের শিবিরে ফেরার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অজিত পাওয়ারের সঙ্গে এনসিপি বিধায়ক আসছেন, তাঁদের মন্ত্রী করা হচ্ছে। বিজেপির কাছে একনাথ-গোষ্ঠী এখন দুয়োরানি। বিজেপির অন্দরেও ক্ষোভ। সরকারে চালানোর স্টিয়ারিংয় বিজেপির হাতে, কিন্তু গেরুয়া বিধায়কদের মন্ত্রী হওয়া সম্ভাবনা নেই।