মোদীর সফরের পর ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দিন দিন ভারতে গণতন্ত্র সোনার পাথরবাটিতে পরিণত হচ্ছে, মোদীর শাসনকালকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেন বিরোধীরা। বিশ্বের সর্বৃহৎ গণতন্ত্রে এখন মানবাধিকার বিপন্ন, সে বিষয়ে মার্কিন আইন প্রনেতারা মোদীর সঙ্গে বাইডেনের আলোচনা দাবি করেছিলেন। মার্কিন সফর সেরে এসেছেন মোদী, এবার ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ’দেশের গণতান্ত্রিক পরিসর নিয়ে সওয়াল করলেন।
ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকি মোদীকে প্রশ্ন করেছিলেন। তারপরই সাংবাদিক গেরুয়া শিবিরের রোষে পড়ে। ভারতে সংখ্যালঘুরা আদৌ কি নিরাপদ? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বারাক ওবামার একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গও উঠে আসছে বারবার। সংবাদসংস্থার মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করা না হলে, ভারতে ভাঙন ধরবে। এবার দেশে গণতন্ত্র রক্ষার পক্ষে সওয়াল করলেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় এরিক বলেন, গণতন্ত্র বিষয়টি সহজ নয়। ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র রক্ষাও করতে হয়। তিনি আরও জানান, আমেরিকা হোক বা ভারত; সব দেশকেই গণতন্ত্র রক্ষায় কাজ করতে হবে। মনে মনে নয়, সরকারি নথিতেও গণতন্ত্রের ছাপ থাকা প্রয়োজন। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি, নারীর ক্ষমতায়নেও জোর দিতে হবে। আম জনতার পাশাপাশি, কূটনীতিবিদদের নিরাপত্তার প্রশ্নেও চিন্তিত এরিক। সম্প্রতি ধর্মগুরু অমৃতপালের মুক্তির দাবিতে খলিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় কনস্যুলেটে তাণ্ডব চালায়। কূটনীতিবিদসহ কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মার্কিন প্রশাসন তৎপর বলেই জানিয়েছেন গার্সেটি। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ হলেও, মানবতার কারণে বিষয়টি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। হিংসার কারণে মৃত্যু কখনওই কাম্য নয়।