লঙ্কা কিনতে পকেটে টান! সমাজ মাধ্যমে বাঙালি মজল মিমে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাজার এখন অগ্নিমূল্য! সবজি কিনতে নাজেহাল আম বাঙালি। মোটামুটি সব সবজিই সেঞ্চুরি পেরিয়ে গিয়েছে। বাজার দর নিয়ে আসরে নেমেছেন কনটেন্ট ক্রিয়াটার থেকে শুরু করে মিমাররা, পিছিয়ে নেই নেটিজেনরাও। ভাইরাল হচ্ছে বাজার দর সংক্রান্ত একের পর এক পোস্ট। কয়েক সপ্তাহ ধরেই সবজির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে জেরবার আমজনতা। কাঁচা লঙ্কা থেকে টমেটো সবকিছুর দামেই ছ্যাঁকা লাগছে। তাই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতায় মজেছে বাঙালি।
ত্রিশ-চল্লিশ বছর আগের পোস্ট ঘুরছে সমাজ মাধ্যমে, তা ঘিরে চলছে জোর চর্চা। সে সময়ের বাজার দর নিয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়েছে বাঙালি। সে সময় পাঁঠা বা খাসির মাংসের কেজি প্রতি দর ছিল ১২ টাকা, মুরগির মাংস মিলত ১৪ টাকায়। পাঁঠার চেয়ে মুরগির মাংসের দাম বেশি! ১৯৭৫ সালের বাজার দর এমনই ছিল।
লঙ্কার দাম নিয়েই যাবতীয় মিমের সূত্রপাত। তা নিয়েই সবচেয়ে বেশি চর্চা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, লঙ্কা কিনতে হবে ইএমআইতে! দোকানে বসে রয়েছেন ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মী।
আবার এমন ছবি দেখা যাচ্ছে যে, বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে লঙ্কা দিয়ে গাঁথা হার এবং লঙ্কার তৈরি ঝোলা কানের দুলের সেট উপহার দিচ্ছেন স্বামী। একদল আবার আদা, লঙ্কা, টমেটোর ছবি পোস্ট করে লিখছেন ব্যাঙ্কের লকারে রাখতে যাচ্ছেন।
রাজ্যের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। শহরের বিভিন্ন বাজারে পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কিলো দামে বিকোচ্ছে। ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কিলোয় বিক্রি হচ্ছে। টাস্ক ফোর্সের বক্তব্য, বাংলার বিভিন্ন বাজারে মোটামুটি গত চার-পাঁচ দিন ধরে বাজার দর একই জায়গায় রয়েছে। আপাতত লাগাম পড়েছে দাম বৃদ্ধিতে।
তবে লঙ্কার দাম বেশ চড়া। দামবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বৃষ্টি ঘাটতিকে দায়ী করা হয়েছিল। এখন বৃষ্টি হচ্ছে, উৎপাদন বাড়ছে। যার জেরে দামবৃদ্ধি কিছুটা ঠেকানো গিয়েছে। যদিও লঙ্কা, টমেটো, আদার দাম চড়াই থাকছে। কারণ, এগুলির জোগান পর্যাপ্ত নয়। মনে করা বাজার, সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।